ঝাড়-ফুঁক সম্পর্কে অনেক সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যা ঝাড়-ফুঁক জায়েয হওয়ার প্রমাণ বহন করে। যেমন- একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) রাসূল (সা.)কে ঝাড়-ফুঁক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তাতে যদি কোনো শিরকী কথা না থাকে, তাহলে করতে পারো। আরো অনেক সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীন তাবীজ ব্যবহারকে জায়েয বলেছেন।
প্রশ্ন : যে সব ইমাম তাবিজ ও ঝাড়-ফুঁক করেন, তাদের পিছনে নামায আদায় করা জায়েয আছে কি?
উত্তর : ঝাড়-ফুঁক সম্পর্কে অনেক সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যা ঝাড়-ফুঁক জায়েয হওয়ার প্রমাণ বহন করে। যেমন- একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) রাসূল (সা.)কে ঝাড়-ফুঁক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তাতে যদি কোনো শিরকী কথা না থাকে, তাহলে করতে পারো। আরো অনেক সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীন তাবীজ ব্যবহারকে জায়েয বলেছেন এবং এ ব্যাপারে ইবনে ওমর ও ইবনে আব্বাস (রাযি.)এর আমল পাওয়া যায়। তবে তাবীজ ও ঝাড়-ফুঁকের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে- (১) কুরআন-হাদীস অথবা আকাবীরে উম্মত থেকে বর্ণিত আদইয়্যা দ্বারা হতে হবে। (২) কুফরী শিরকী কোনো মন্ত্র না থাকতে হবে। (৩) আরবী ভাষায় হতে হবে। অন্য ভাষায় হলে স্পষ্ট হতে হবে, যাতে তার অর্থ বুঝে আসে। আর যদি মহিলা হয়, পর্দার সাথে হতে হবে। অতএব, উল্লিখিত শর্তসমূহের দিকে লক্ষ্য করে কোনো ইমাম সাহেব তাবীজ বা ঝাড়-ফুঁক দেয়, তাহলে তার পিছনে নামায আদায় করা যাবে, কোনো সমস্যা নেই। অন্যথায় নয়।
আরও পড়ুন: ইসলামে বিশুদ্ধ ভাষা চর্চার গুরুত্ব
[মুসলিম-১/৪৫৭ ও ২/২২৪,মাআরিফুল কুরআন- ৭/১৮৬, আহকামুল কুরআন- ১/৫১, মিরকাতুল মাফাতিহ- ৩৭৩, ফাতহুল মুলহিম- ৪/৩১৭, আহসানুল ফাতাওয়া- ৮/২৫৬]
এন এইচ, ২০ অক্টোবর