পশ্চিমবঙ্গ

পশ্চিমবঙ্গে একদিনে রেকর্ড শনাক্ত

কলকাতা, ১৬ এপ্রিল – পশ্চিমবঙ্গে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) একদিনে প্রায় ৬ হাজার ৭৬৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ রাজ্যে এটাই সর্বোচ্চ রেকর্ড।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে গত শনিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার পার হয়েছিল। মঙ্গলবার ছিল ৪ হাজার ৮০০। বুধবার শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজারের কাছাকাছি। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়ল। এতে শঙ্কা বেড়েছে, যা দেখে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন : ২৪ ঘণ্টার জন্য দিলীপ ঘোষকে ব্যান করল নির্বাচন কমিশন

গত বুধবার পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৫ হাজার ৮৯২ জনের। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সেই রেকর্ড ভেঙে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে কলকাতায় আক্রান্ত ১ হাজার ৬১৫ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ১ হাজার ৩৫৪।

করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৪৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৭, উত্তর ২৪ পরগনায় ৬ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫ জন মারা গেছেন।

কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক। এর মধ্যে দার্জিলিংয়ে ১৮৭, জলপাইগুড়িতে ১৩১, উত্তর দিনাজপুরে ৬৮, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬২, মালদহে ২৯৮, মুর্শিদাবাদে ২৮২, নদিয়ায় ২৩০, বীরভূমে ৩৮৩, পুরুলিয়ায় ১৬৯, বাঁকুড়ায় ৫৩, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫৬, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৫৬, পূর্ব বর্ধমানে ১৭৮, পশ্চিম বর্ধমানে ৩৮০, হাওড়ায় ৩৯৫ এবং হুগলিতে ২৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

গত সোমবার করোনা সংক্রমণের হার ছিল ১২.১৫ শতাংশ। মঙ্গলবার ছিল ১১.৩৬ শতাংশ। বুধবার সেটা বেড়ে হয়েছিল ১৩.৫৬ শতাংশ। কিন্তু বৃহস্পতিবার সংক্রমণের হার এক লাফে বেড়ে ১৬.০৭ শতাংশ হয়েছে।

প্রতিদিন যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২ হাজার ১২১টি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮৭ জন। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪২৪ জন। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগী ৩৬ হাজার ৯৮১ জন, যা বুধবারের তুলনায় ৪ হাজার ৩৬০ জন বেশি।

এন এইচ, ১৬ এপ্রিল

Back to top button