কাদের মির্জা ও তার ভাগ্নের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
নোয়াখালী, ০৬ এপ্রিল – নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাতের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের করালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বসুরহাট পৌরসভা করালিয়া এলাকায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাতের অনুসারী করিম উদ্দিন শাকিলের উপর কাদের মির্জার অনুসারী শহীদ উল্যাহ রাসেলের নেতৃত্বে হামলা করে। খবর পেয়ে শাকিলের বাড়ি থেকে লোকজন এলে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে।
এতে আহতরা হলেন- রাহাতের অনুসারী পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেলিমের ছেলে করিম উদ্দিন শাকিল (২৪), তার ছোট ভাই কোরবান আলী রাকিব (২০) ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম ছারওয়ারের ছেলে নূর মোহাম্মদ রাহীম (২৭) এবং কাদের মির্জা গ্রুপের পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হাসেমের ছেলে মো. ইউসুফ (৩০) ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সফি উল্যাহর ছেলে শহীদ উল্যাহ রাসেল (৩২)।
আরও পড়ুন : কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
আহতদের মধ্যে মো. ইউসুফকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বসুরহাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কাদের মির্জার লোকজন বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে ও কাদের মির্জার ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাতের লোকজন কেজিস্কুল এলাকায় অবস্থানের খবর পাওয়া গেছে। উভয় স্থানে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে কাজ করছে বলে পুলিশ জানায়।
প্রসঙ্গত, বসুরহাটের মেয়র কাদের মির্জার বিপরীতে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নেরা একসঙ্গে হয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ইতোমধ্যে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে আরও শতাধিক। সম্প্রতি কাদের মির্জা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ
এন এইচ, ০৬ এপ্রিল