পশ্চিমবঙ্গ

দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া উচিত কমিশনের, ‘BJP প্রার্থীর স্ত্রী’র গাড়িতে EVM’ বিতর্কে বললেন শাহ

কলকাতা, ০৩ এপ্রিল -অসমে তৃতীয় দফা ভোটের আগে ক্রমশ বাড়ছে ইভিএম বিতর্ক। অভিযুক্ত চার ভোটকর্মীকে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন সাসপেন্ড করে দিলেও মওকা ছাড়তে নারাজ বিরোধীরা। সেই পরিস্থিতিতে বিতর্ক থেকে নিজেদের গা ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হল বিজেপি। অমিত শাহ জানালেন, কেউ দোষ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শুক্রবার ইন্ডিয়া টুডে’তে শাহ বলেন, ‘দেখুন এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) দক্ষিণ ভারতে ছিলাম। আজ (শুক্রবার) এখানে আছি। পরশু (শনিবার) যখন যান, তখন বিস্তারিত খোঁজ নেব। আমরা নির্বাচন কমিশনকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া থেকে আটকায়নি। এরকম হলে আইন মোতাবেক নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সেইসঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

আরও পড়ুন : ‘বাংলায় হার নিশ্চিত জেনেই বারাণসীর পথে মমতা’, বেনজির কটাক্ষ মোদির

গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটের পর অসমে এক বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি থেকে ইভিএমের হদিশ পাওয়া যায়। যে ইভিএমে ভোট গিয়েছিল। সেই খবর চাউর হতেই বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়। তুমুল বিতর্কের মধ্যে কমিশনের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, অসমের রাটাবাড়ি (তফসিলি জাতি) বিধানসভা কেন্দ্রে ইন্দিরা এম.ভি. স্কুল অফ এলএসি ১৪৯ নম্বর বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের এবং তিন ভোট আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যাঁরা পার্শ্ববর্তী পাথরকান্দির বিজেপি প্রার্থী কৃষেন্দু পালের স্ত্রী মধুমিতার নামে নথিভুক্ত গাড়িতে ইভিএম নিয়ে উঠেছিলেন। ওই বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশের পাশাপাশি পুরো বিতর্কে বিশেষ পর্যবেক্ষকের থেকে রিপোর্ট তলব করে কমিশন।

বিবৃতিতে কমিশনের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার ভোট শেষে গাড়ি করে ফিরছিলেন রাটাবাড়ির ১৪৯ নম্বর বুথের ভোট আধিকারিকরা। সঙ্গে পুলিশের নিরাপত্তা ছিল। কিন্তু ফেরার পথে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। তার জেরে প্রবল যানজট তৈরি হয়েছিল। তারইমধ্যে গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। বিষয়টি সেক্টর অফিসারকে জানানো হয়। তিনি বিকল্প গাড়ির আয়োজনের চেষ্টা করলেও ভোটকর্মীরা রাস্তা দিয়ে অপর একটি গাড়িতে (বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী’র গাড়ি) উঠে যান। কার গাড়ি ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখা হয়নি। পরে করিমগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় একদল জনতা গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে বলে অভিযোগ কমিশনের। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, গাড়ি ঘিরে গালিগালাজ করা হয়। ইভিএমে কারচুপির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে ভোটকর্মীদের আটকে রাখেন উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।

সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
অভি/ ০৩ এপ্রিল

Back to top button