ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীর পরিচয় মিলেছে
ওয়াশিংটন, ০৩ এপ্রিল – যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীর নাম–পরিচয় জানা গেছে। তার নাম নোয়া গ্রিন (২৫)। তিনি ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা।
অন্যদিকে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলাকারী নোয়া গ্রিনকে ‘নেশন অব ইসলাম’ নামের একটি দলের সদস্য হিসেবে দেখা গেছে। ইনস্টাগ্রামে নোহা গ্রিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে কৃষ্ণাঙ্গদের এক নম্বর শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে মন্তব্য করেছেন। এছাড়াও নিজেকে লুইস ফারাখানের অনুসারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন : মার্কিন কংগ্রেস ভবনে হামলার চেষ্টা, নিহত ২
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে রক্তাক্ত দাঙ্গার তিন মাসের কম সময়ের ব্যবধানে আবারো এই হামলা হলো। তবে এ হামলার সাথে সন্ত্রাসী তৎপরতার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে উল্লেখ করছেন কর্মকর্তারা।
ওয়াশিংটন ডিসির মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রবার্ট কনটে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এখন পর্যন্ত এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না।
এক বিবৃতিতে তিনি নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম উইলিয়াম বিলি ইভান্স বলে উল্লেখ করেন। ইভান্স ক্যাপিটল পুলিশে ১৮ বছর ধরে কাজ করছিলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রবার্ট কনটে জানান, দুপুর ১টার দিকে ক্যাপিটল হিলের পুলিশের অ্যালার্ট সিস্টেম থেকে একটা মেইল আসে। ওই মেইলে বলা হয়, ক্যাপিটল হিলের ভেতরে-বাইরে যারা রয়েছে তারা যেন কোনো কিছুর আড়ালে অবস্থান করে নিজেদেরকে রক্ষা করেন। সে সময় সবাইকে জানালা বা দরজার কাছ থেকে সরে যেতে বলা হয়।
তিনি জানান, ওই সময় সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি একটি নীল রঙের সেডান গাড়ি নিয়ে ক্যাপিটল হিলের উত্তর দিকের বেরিকেডের ওপর আছড়ে পড়েন। তারপর চালক গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ছুরি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের একজন সদস্য তাকে গুলি করে। তবে হামলাকারী নিহত হওয়ার আগেই তার ছুরিকাঘাতে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন, যাদের একজন পরে মারা যান।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুসারীরা ক্যাপিটল হিলে ঢুকে ভাঙচুরসহ সহিংসতায় লিপ্ত হয়। ওই ঘটনায় দুইজন পুলিশসহ ৫ জন নিহত হন। ট্রাম্পের নিজেরও এতে সমর্থন ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
সূত্র : সমকাল
এন এইচ, ০৩ এপ্রিল