নোয়াখালী

বসুরহাটে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

নোয়াখালী, ১২ মার্চ – নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। নতুন করে যেন আর কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, সে জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৩০০ পুলিশ এবং ১৬ র‌্যাব সদস্য। জেলা পুলিশের পাশাপাশি রাঙামাটি থেকে আনা হয়েছে ২০০ পুলিশ সদস্য। রয়েছেন পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ঊর্ধ্বতন ১০ কর্মকর্তা।

শুক্রবার সকাল থেকে বসুরহাটের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় অবস্থান নিয়েছেন এসব সদস্য।

সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকেই বসুরহাট পৌর ভবনের চারদিক ঘিরে রেখেছেন পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা। সাদাপোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরাও রেখেছেন কড়া নজরদারি। এ ছাড়া জিরো পয়েন্টে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু চত্বর, রুপালী চত্বর, উপজেলা হাসপাতাল গেট, কলেজ গেট ও উত্তর বাজার এলাকায় পুলিশ ও র‌্যাবের সতর্কাবস্থান দেখা গেছে।

এ অবস্থায় একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। স্থবির হয়ে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য।

আরও পড়ুন : রাতভর অবস্থানের পর কার্যালয় ছেড়েছেন কাদের মির্জা

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান। ৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে উভয় পক্ষের মধ্যে পুনরায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন (৩২)।

এদিকে আলাউদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহত আলাউদ্দিনের ভাই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে এই এজাহার করেন। কিন্তু মামলার এজাহারে সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, মামলা রেকর্ড করা হয়নি। এজাহারে সমস্যা আছে। বাদীকে বলা হয়েছে। পরে তিনি ঠিক করে আনবেন বলেছেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, নতুন করে যেন আর কোনো সহিংসতার ঘটনা না ঘটে, সে জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৩০০ পুলিশ, ১৬ র‌্যাব সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন ১০ কর্মকর্তা। এ ছাড়া পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে সাদাপোশাকে একদল পুলিশ বাদলকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় বলে জানান তার ছোট ভাই রহিম উল্যাহ বিদ্যুত। পরে রাত পৌনে আটটায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন।

উল্লেখ্য, এর আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগে বিবদমান কাদের মির্জা ও বাদল-সমর্থিত দুই গ্রুপের দফায় দফায় হামলা সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ দুজন নিহত হওয়ায় পর দোষীদের ছাড় না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এ/ ১২ মার্চ

Back to top button