আইন-আদালত

সারাদেশের টিলা রক্ষার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

ঢাকা, ০৮ ফেব্রুয়ারি – সারা দেশের টিলা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে সাত দিনের মধ্যে কুলাউড়ার মলাংগি টিলা কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।

আদালতে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদি সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এ রিট করেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরি এবং অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভুইয়া।

আরও পড়ুন : দুদককে দন্তহীন বাঘ হলে চলবে না : অর্থপাচারের শুনানিতে হাইকোর্ট

শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৬ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় বা টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না। ওই আইনের ১৫ ধারা অনুসারে কেউ টিলা কর্তন করলে তার ২ বছর পর্যন্ত সাজার বিধান রয়েছে। অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির তত্ত্বাবধানে মলাংগি টিলার একটি বড় অংশ কেটে রাস্তা নির্মাণ ও মাটি বিক্রি করলেও আইনানুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। রুলে দেশের সব টিলা সঠিকভাবে সংরক্ষণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, কেউ টিলা কাটলে তার বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারা অনুসারে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, কোনো এলাকায় টিলা কাটা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি কর্মকর্তাকে দায়ী করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত মলাংগি টিলা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সারা দেশের টিলা রক্ষায় মনিটরিংয়ের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং মনিটরিং এর ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য কেবিনেট ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সার্কুলার জারির জন্য নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।

রুলের বিবাদীরা হচ্ছেন, মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র , জনপ্রশাসন, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) ১৩ জন।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ০৮ ফেব্রুয়ারি

Back to top button