মাদারীপুর

নিখোঁজ কিশোরীর লাশ মিলল প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে

মাদারীপুর, ১০ জানুয়ারি- মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামে নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৮টার দিকে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল তার লাশ উদ্ধার করে।

জানা গেছে, জেলার কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনের (২৫) সঙ্গে একই গ্রামের চাঁনমিয়া হাওলাদারের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মুর্শিদা আক্তারের (১৬) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই গত বছরের ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি সকালে মুর্শিদাকে তাদের বাড়ি থেকে কৌশলে প্রেমিক সাহাবুদ্দিন আকন তার বাড়িতে নিয়ে যান। এরপরই নিখোঁজ হয় মুর্শিদা। এ ঘটনায় গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতেই মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় একটি জিডি করে।

এরপরও মুর্শিদার কোন খোঁজ না পেয়ে গত ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করে ডাসার থানায় মামলা করেন মা মাহিনুর বেগম। দীর্ঘদিন মামলার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় গত ১৮ ডিসেম্বর মাদারীপুর ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে। পরে গত ৩১ ডিসেম্বর মামলার প্রধান আসামি সাহাবুদ্দিন আকন আদালতে স্বোচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই তারিকুল ইসলাম আসামি সাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন আদালতে। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

শনিবার বিকালে সাহাবুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয় ডিবি পুলিশের কাছে স্বীকার করে এবং লাশ গুম করার কথা জানায়। সাহাবুদ্দিনের দেওয়া তথ্যে রাত ৮টার দিকে তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের মামা মিরাজ তালুকদার বলেন, মুর্শিদা নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা ডাসার থানায় প্রথমে জিডি এবং পরবর্তীতে একটি মামলা দায়ের করি। কিন্তু ডাসার থানা পুলিশের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা পাইনি। পরবর্তীতে মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশের কাছে মামলা হস্তান্তরের পরে আসামি কোর্টে আত্মসমর্পণ করে। পরে আসামি স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দি দেয়। সে মোতাবেক ডিবি পুলিশ আমার ভাগ্নির লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সকলের ফাঁসি চাই।

আরও পড়ুন :  নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বাধ্যবাধকতার আওতায় আসছেন ব্যবসায়ীরা

বালিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আ. মতিন মোল্লা বলেন, এত বড় জঘন্য কাজ যে করেছে এবং যারা সহযোগীতা করেছে সবার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।

জেলা ডিবি পুলিশের ওসি চৌধূরী রেজাউল করিম বলেন, পুলিশ সুপারের নিদের্শে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ডিবির একটি টিম শনিবার রাতে আসামি সাহাবুদ্দিন আকনের বাড়িতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করেছি। এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সূত্র: সমকাল

আর/০৮:১৪/১০ জানুয়ারি

Back to top button