পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটে ভাগ বসাতে আসছে ওয়েইসির ‘মিম’
কলকাতা, ১১ নভেম্বর- বিহারে সংখ্যালঘু অধ্যূষিত এলাকাগুলিতে ভোটের ফলে ফারাক গড়েছে আসাউদ্দিন ওয়েইসির দল AIMIM বা মিম। নির্বাচনী বিশ্লেষকদের দাবি, ‘মিম’ সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসানোয় লাভ হয়ে গিয়েছে বিজেপিরই। সদ্যসমাপ্ত বিহার ভোটে ৫টি আসন ঝুলিতে পুড়েছে আসাউদ্দিন ওয়েইসির দল মিম। এবার তাঁদের লক্ষ্য বাংলা। পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেবে ‘মিম’।
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার-সহ একাধিক রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের ফল পেয়েছে ‘মিম’। একের পর এক রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসানোর পর এবার বাংলায় আসতে চলেছে আসাউদ্দিন ওয়েইসির দল। সামনেই বাংলায় বিধানসভা ভোট।
‘বাংলায় আসছি’, ইতিমধ্যেই স্পষ্টভাবে একথা ঘোষণা করেছেন মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। ২০১১ সাল থেকে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটের একটি বড় অংশই শাসক তৃণমূলের অনুকূলে রয়েছে। তবে আসন্ন ভোটে ‘মিম’ মাঠে নামলে ভোটের ফলে অনেকটাই ফারাক তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন নির্বাচনী বিশ্লেষকরা।
বিহারের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সীমাঞ্চলে মহাজোটের সংখ্যালঘু ভোটে বড়সড় ভাগ বসিয়েছে ‘মিম’। সেই কারণেই সিএএ, এনআরসি-সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ সংখ্যালঘুদের একটি বড় অংশ সমর্থন উজাড় করে দিয়েছেন ওয়েইসির দলকে। তবে এ যাত্রায় উল্টো ফল হয়েছে। আরজেডি-র ভোট কেটে আদতে বিজেপিকেই সুবিধা করে দিয়েছে ওয়েইসির ‘মিম’। বিহারের সংখ্যালঘু অধ্যূষিত সীমাঞ্চলে তাই এবার ভোটে অপ্রত্যাশিতভাবেই ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির।
পশ্চিমবঙ্গেও ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় সংগঠন মজবুত করার কাজে নেমে পড়েছে ‘মিম’। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর-সহ একাধিক জেলায় ‘মিম’ সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ওয়েইসি নিজেও বাংলায় দলের সংগঠন বাড়াতে তৎপর।
নির্বাচনী বিশ্লেষকদের অনুমান, বাংলাতেও ‘মিম’ সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসালে ভোটের ফলে ফারাক তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে শাসক তৃণমূলের ‘ভোটব্যাঙ্ক’ হিসেবে পরিচিত মুসলিম ভোটের একটি বড় অংশ চলে যেতে পারে ‘মিম’-এর দখলে।
সূত্র : কলকাতা২৪x৭
আর/০৮:১৪/১২ নভেম্বর