সুনামগঞ্জ

রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগে সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র কারাগারে

সুনামগঞ্জ, ২৬ জানুয়ারি – রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়া‌র্ডের সা‌বেক কাউ‌ন্সিলর ও সা‌বেক প্যা‌নেল মেয়র হোসেন আহমদ রা‌সেল কে কারাগা‌রে পা‌ঠি‌য়ে‌ছেন আদালত। সোমাবার দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতের বিচারক কুদরত ই এলাহির আদাল‌ তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগা‌রে পাঠান। এর আ‌গে আদাল‌তে হা‌জির হ‌য়ে জা‌মিন প্রার্থনা ক‌রেন তি‌নি।

এর আ‌গে গত বুধবার সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত সুনামগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র না‌দের বখত, সা‌বেক প্যা‌নেল মেয়র না‌দের বখতসহ ৫জ‌নের বিরু‌দ্ধে গ্রেফতা‌রি প‌রোয়না জা‌রি ক‌রেন। ত‌বে বৃহস্প‌তিবার না‌দের বখতসহ দুইজন একই আদালত থে‌কে জা‌মিন নেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা পাসপোর্ট অফিসে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পাসপোর্ট করতে আসেন দুই রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা দুজনই সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার চারজন ব্যক্তির সহায়তায় সুনামগঞ্জে আসেন। ঘটনার দিন সকালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আসলেও বিকেলে ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট কার্যালয়ে গেলে তাদের কথাবার্তায় পার্সপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে দুই রোহিঙ্গা ও তাদের সহযোগী চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেন তারা। ওইদিনই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের মো. ফরহাদ আহমদ (৩৬), রামনগর গ্রামের মো. নূর হোসেন (২৩), সুজাতপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (২৪) ও আমির উদ্দিনকে (২৩) আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন, থানার উপ-পরিদর্শক জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার।

আরও পড়ুন : কুশিয়ারার পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ

পরবর্তীতে রোহিঙ্গা ও চারব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেলের সুপারিশে পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ তদন্ত শেষে গেল ২১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এসময় এজহারভুক্ত চার আসামি ছাড়াও তদন্তে ৫ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুনাগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক একেএম জালাল উদ্দিন বলেন, ভুয়া জন্মসনদ দেওয়া মামলায় তদন্ত শেষে পাঁচজনের নাম অভিযুক্ত করি সেখানে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়রও রয়েছেন। আমরা জন্ম সনদে পৌরসভার মেয়র নাদের বখত ও ওই সময়ের প্যানেল মেয়র হোসেন আহমেদ রাসেলের স্বাক্ষর পেয়েছি এবং এঘটনায় আরও ৩ জনের জড়িত থাকার প্রমাণও আমরা পেয়েছি।

তবে ঘটনার ঘটনার দিন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত সুনামগঞ্জে ছিলেন না জানিয়ে বলেন, আমি গ্রেফারি পারোয়ানা বিষয়টি জেনেছি।

‌কোর্ট প‌রিদর্শক সে‌লিম নেওয়াজ জানান, জা‌মিন মঞ্জুর না ক‌রে আদালত হো‌সেন আহমদ রা‌সেল‌কে কারাগা‌নে পাঠা‌নোর নি‌র্দেশ দেন।

সূত্র : সিলেটভিউ
এন এ/ ২৬ জানুয়ারি

Back to top button