ইউরোপ

বরিসের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল ‘আবেগের বোমাবর্ষণ’ : জেনেফার

লন্ডন, ১৭ অক্টোবর – ৩৫ বছরের ব্রিটিশ নারী ব্যবসায়ী জেনেফার আর্কারি কোনো রকম রাখ ঢাক না করেই জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। যাকে তিনি ‘বোমবারড বাই প্যাসন’ বলে অভিহিত করেন। যখন লন্ডনের মেয়র ছিলেন বরিস সেই সময় ২০১২ থেকে ২০১৬ সালে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বরিসের ঘরে তখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী ম্যারিনা হুইলার বহাল তবিয়তেই ছিলেন। মিরর/ডেইলি মেইল

জেনেফের বলেন বরিসের সঙ্গে তার চার বছরের সম্পর্ক ছিল ‘আবেগের হিমসাগর’। এই মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা জানান বরিসের দ্বিতীয় স্ত্রী ম্যারিনা থাকলেও তা তাদের সম্পর্কে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি করেনি। এখন অবশ্য বরিসের বান্ধবী ক্যারি সিমণ্ডস সম্ভবত এসব নিয়ে মাথা ঘামান না।

এখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে কি না সে প্রশ্নের জবাবে জেনেফার বলেন, আমার মনে হয় এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৬ সালে সিটি হল ছেড়ে দেয়ার পর সম্পর্ক আর আগের মত নেই। এখনো তাকে গভীরভাবে অনুভব করি।

আরও পড়ুন : খোলামেলা পোশাকে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বজুড়ে আলোচনা

জেনেফার বলেন একা ও তরুণী হিসেবে লন্ডনে থাকার সময় আবেগের সেই তুষারস্রোতে ভেসে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় বা বোকা হওয়া ছাড়া কোনো পথ ছিল না।

মার্কিন এই নারী ব্যবসায়ী ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ১ লাখ পাউন্ডের একটি অনুদান পাওয়ার পর তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিকভাবে অভিযোগ ওঠে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং বোকা আবেগের শিকার হয়ে বরিস তার পদমর্যাদা ব্যবহার করে জেনেফারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। কোনো অনিয়ম না পাওয়ায় তদন্ত থেকে বেঁচে যান বরিস।

জেনেফার এখন এক ব্রিটিশ ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন এবং তাদের ঘরে ৩ বছরের একটি মেয়ে আছে। বাবার মৃত্যুর কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও করোনাভাইরাস বিধি শিথিল হলে জেনেফার লন্ডনে ফিরে আসবেন।

Back to top button