জোর করে মমতার মঞ্চে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের গুন্ডারা : আনন্দ বর্মনের দাদু
কোচবিহার, ১৪ এপ্রিল – মাথাভাঙায় গিয়ে লাশের রাজনীতি করছেন মমতা। বুধবার দুপুরে দাবি করেছিল বিজেপি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের দাবির সমর্থনে মুখ খুললেন নিহত আনন্দ বর্মনের দাদু। যাঁকে আজ দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে। মৃত যুবকের দাদু ক্ষিতীশ রায় বলেন, ‘তাঁকে জোর করে মমতার মঞ্চে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের গুন্ডারা।’
বুধবার সন্ধ্যায় কোচবিহারে বিজেপির পার্টি অফিসে বসে ক্ষিতীশবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে জোর করে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের গুন্ডারা আমাকে নিয়ে যায়। তার পর যা বলতে বলেছে তাই বলেছি।’ তাঁর দাবি, ‘জেলা তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথা মতো মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরকারি চাকরি চেয়েছি।’
আরও পড়ুন : আর কোনও বড় জমায়েত নয়, কোভিড পরিস্থিতিতে বেনজির সিদ্ধান্ত বামফ্রন্টের
বুধবার কমিশনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর কোচবিহারে মাথাভাঙায় যান মমতা। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত ও আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। মমতার মঞ্চে দেখা যায় সেদিন নিহত বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের দাদুকেও। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে প্রথমবারের ভোটার আনন্দ বর্মনের। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, আনন্দ বর্মনের পরিবারও রয়েছে তাদের সঙ্গেই।
যদিও সকালে আনন্দ বর্মনের বাবা জানান, ‘ছেলে বিজেপি করতো। তাকে গুলি করে মেরেছে তৃণমূল। কোনও পরিস্থিতিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে যাব না। সরকারি সাহায্যও চাই না।’
এর পর বুধবার দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘শীতলকুচিতে লাশের রাজনীতি করছেন মমতা। আনন্দ বর্মনের পরিবারে ভাঙন ধরিয়ে মমতার মঞ্চে হাজির করা হয়েছে তাঁর দাদুকে। বাংলার মানুষ এই লাশের রাজনীতি আর মেনে নেবে না।’
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
অভি/ ১৪ এপ্রিল