বাংলা নববর্ষে ঢাবিতে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা
ঢাকা, ১৪ এপ্রিল – করোনরাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং লকডাউন বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার বাংলা নববর্ষ সীমিত পরিসরে প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘কাল ভয়ঙ্করের বেশে আসে ঐ সুন্দর।’
আজ বুধবার সকালে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ নিয়ে অনুষদ প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিস অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রতীকী এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন : অবসর ভাতা পাচ্ছেন ৬৪২ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী
এ প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের স্বল্প সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আবহমান কাল থেকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার যে বর্ণিল উৎসব ও ঐতিহ্য, সেটি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন। নানা বিবেচনায় বাংলা-১৪২৮ গুরুত্ববহ একটি বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বাংলা নববর্ষের আগমন ঘটল।’ তিনি কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করায় উপাচার্য চারুকলা অনুষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা। কিন্তু চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে এ বছর পহেলা বৈশাখ উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আশা করি, আগামীতে করোনা উত্তর বাংলাদেশে আগের রূপে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে সক্ষম হবো।’ নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সংক্ষিপ্তভাবে প্রতীকী এ মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চারুকলা অনুষদকে ধন্যবাদ জানান।
সূত্র : আমাদের সময়
এন এইচ, ১৪ এপ্রিল