কমিশনের শো-কজের পাল্টা, মমতা মনে করালেন শুভেন্দুর নন্দীগ্রাম উবাচ
কলকাতা, ০৮ এপ্রিল – দশবার শো-কজ করলে দশবার একই জবাব দেবো। কমিশনের বিধিভঙ্গ শো-কজে প্রকাশ্য সভা থেকে এমন উত্তরই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তুলে আনলেন শুভেন্দু অধিকারীর মেরুকরণ মন্তব্য, যা নিয়ে কার্যত নীরব ছিল কমিশন।
মমতা এদিন সভা করেন ডোমজুড়ে। সেখানেই কথায় কথায় আসে নির্বাচন কমিশনের তাঁকে নোটিশ পাঠানোর প্রসঙ্গ। মমতা বলেন, “নন্দীগ্রামে (Nandigram) মুসলিমদের যাঁরা পাকিস্তানি বলেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কটা অভিযোগ হয়েছে? খালি তৃণমূলের বিরুদ্ধেই সব অভিযোগ!” অর্থাৎ কমিশনের বিরুদ্ধেই পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য তাঁর দলের তরফেও এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, দলের তরফে দেড় হাজার অভিযোগ করা হলেও মাত্র তিনটি অভিযোগে সা়ড়া দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন : ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হলে তৃণমূলকে সমর্থন করবে না বামেরা: সূর্যকান্ত মিশ্র
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার শো-কজ করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। একটি সভায় সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্য মমতার বক্তব্য ছিল, ভোট ভাগ হতে দেবেন না। কমিশন বলছে, এই বক্তব্য আচরণবিধি লঙ্ঘন। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন লঙ্ঘন। কমিশনের বিধি অনুযায়ী,প্রার্থী ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাইতে পারে না। এক্ষেত্রে কাঁটা দিয়েই কাঁটা তুলছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর পাল্টা যুক্তি, ভারতের তথা এই বাংলারই অংশ নন্দীগ্রাম। সেখানকার বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী কী করে নন্দীগ্রামের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলকেই মিনি পাকিস্তান বলেন? মমতার প্রশ্ন এই ঘটনা কি মেরুকরণ বা ধর্মের ভিত্তিতে মেরুকরণ নয়?
প্রসঙ্গ মমতার আরও একটি মন্তব্যও কমিশনের আতসকাচের তলায় রেয়েছে। বুধবার কোচবিহারের একটি জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থকদের পরামর্শ দেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি পেশিশক্তি দেখায় তবে তাদের ঘেরাও করতে। একদল ঘেরাও করে অন্যদল ভোট দিক, এমনটাই ছিল মমতার পরামর্শ। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে কমিশনে যায়। কমিশন থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়।
সুত্র:নিউজ ১৮
অভি/ ০৮ এপ্রিল