জাতীয়

জিয়ার খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে যা বললেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

ঢাকা, ০৬ মার্চ – বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করা হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসছে খুব শিগগিরই। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল হলে তাদের সব রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাও বাতিল হবে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে যদি জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, ‘জিয়ার খেতাব বাতিল করা হয়নি। এ বিষয়ে কমিটি তদন্ত করছে। তদন্ত করার পর জাতির সামনে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত বা সাজাপ্রাপ্ত খুনি তাদের খেতাব বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

আরও পড়ুন : শীর্ষ ৩ অনুপ্রেরণীয় নারী নেতৃত্বের তালিকায় শেখ হাসিনা

পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নামও বাদ পড়বে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর স্কাউট ভবনে আয়োজিত দিনব্যাপী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত এখন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে জামুকা। এরপর মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করবে।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শরিফুল হক ডালিমের নামের সঙ্গে ‘বীর উত্তম’; নূর চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিনের নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি ছিল।

সূত্র: আরটিভি
এন এ/ ০৬ মার্চ

Back to top button