ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ইউপি চেয়ারম্যানের মদপানের ছবি ভাইরাল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ০৪ ফেব্রুয়ারি – ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার মদপানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান কেবল মদই পান করেন না, তিনি ইয়াবা সেবন করেন। মাঝে মাঝে গাঁজাও খান।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন কাইতলা উত্তর পরিষদের ১১ জন ইউপি সদস্য। এসময় তারা ওই ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি জানান।

পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার বাছির মিয়া বলেন, ‘ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধা নিজে মাদকাসক্ত ও মাদক বেচাকেনা করেন। তার বিষয়ে এলাকার জনগণসহ সকলের কাছে ব্যাপারটি ওপেন সিক্রেট।’

পরিষদের অপর সদস্য ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাজল মিয়া বলেন, ‘চেয়ারম্যান কেবল মদই পান করেন না, তিনি বাবা (ইয়াবা) সেবন করেন। মাঝে মাঝে গাঁজাও খান।’

আরও পড়ুন : মামুনুল হককে মাহফিলে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, মাদ্রাসা ছাত্রদের বিক্ষোভ

পরিষদের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের মেম্বার লিলি বেগম বলেন, ‘তিনি আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিলেন। আমি জানি তিনি মাদক সেবন করেন। হয়তো আমার ওপর হামলাকালে তিনি মদ্যপ ছিলেন।’

এ বিষয়ে কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধা বলেন, ‘আমার সারা জীবনে আমি ২০০ গ্রাম মাদক পান করিনি। এটি কাইতলা গ্রামের বিল্লালের ঘর থেকে ধারণ করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা এটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এ ব্যাপারে আমি মৌখিকভাবে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছি। আমি স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তারা ৩৮ মাস ধরে পরিষদের সভায় আসেনি। কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেনি। তারা এমনটি করতেই পারেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা তদন্ত করে নিশ্চই ব্যবস্থা নেবেন।’

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক জানান, ‘এ সম্পর্কে একটি অভিযোগ কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের কাছ থেকে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে রিপোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার বিভাগে দেয়া হবে। সেখান থেকে রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যাপারে কোনও কিছু বলার এখতিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানদের নেই। তাই বিষয়টি জানলেও তাদের কিছু করার থাকে না বা নেই। তবে তিনি বলেন, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। দোষী হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চই প্রশাসন নেবেন।

সূত্র : নতুন সময়
এন এইচ, ০৪ ফেব্রুয়ারি

Back to top button