রাজশাহী

বিশাল শিক্ষাযজ্ঞের নগরী হচ্ছে রাজশাহী’ : মেয়র লিটন

রাজশাহী, ০৪ ফেব্রুয়ারি – রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘রাজশাহীতে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। রাজশাহী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সবমিলিয়ে রাজশাহীকে এক বিশাল শিক্ষাযজ্ঞের নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।’

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহা. হবিবুর রহমানের অবসরোত্তর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যক্ষ হবিবুর রহমানের প্রশংসা করে মেয়র বলেন, ‘আমি তাকে নানাভাবে উৎসাহ দিয়েছি ও সহযোগিতা করেছি। বাংলাদেশে যদি হাজার খানেক হবিবুর রহমান থাকতেন, তবে দেশ আরো অনেক এগিয়ে যেত। কারণ সারাদেশে তো হাজার হাজার প্রফেসর আছেন, এর মধ্যে ভালোও অনেক আছেন। তবে সবদিক মিলিয়ে এতো গুণের সমাহার, নান্দনিক ও শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি কয়জনের আছে। তিনি একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের কাছে পিতৃতুল্য, অন্যদিকে অভিভাবক হিসেবে কড়া ব্যবস্থা নিতেও দ্বিধাবোধ করেননি।’

আরও পড়ুন : ধান কুড়িয়ে জমানো টাকা দিয়েও জুটলো মাথা গোঁজার ঠাঁই

রাসিক মেয়র আরও বলেন, ‘এ মানুষটির কারণে একসময়ের অবিভক্ত বাংলার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী কলেজ পরপর চারবার বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষাসহ সবদিক দিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাস আজ ঝকঝকে তকতকে। ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মধ্যে হানাহানি কিংবা বিদ্বেষ নেই। এ মানুষটির কারণে এখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান। তার সম্পর্কে যতই প্রশংসা করা হোক তা কম হবে।’

রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তানভীরুল হক, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দীকা, রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর, মাউশির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ইলিয়াস হোসেন, বিদায়ী অধ্যক্ষ পত্নী সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।

বিদায়ী অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহা. হবিবুর রহমান বলেন, ‘যেকোনো কাজের প্রতিই ভালোবাসা, সততা, স্বচ্ছতা থাকতে হয়। আমি সেই কাজটি করে গেছি।অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন, রাজশাহী কলেজে সার্বিক উন্নতির জাদুটা কী? আমি এক কথায় বলি, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ইতিবাচকভাবে বদলে যেতে দেখেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দিয়েছি, প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছি। যা অনেক প্রতিষ্ঠানই পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলে থাকেন আমি পারি, আমরা পারি। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই তার নেতৃত্বেই পদ্মাসেতু তৈরি হচ্ছে। আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। এর মধ্যেই কাজ করে যেতে হবে। আর এটাই আমার সফলতার গল্প, কাল্পনিক কিছু নয়।’

এর আগে সকালে অধ্যক্ষকে গার্ড অব ওনার প্রদান করে রাজশাহী কলেজ বিএনসিসি ইউনিট ও রোভার স্কাউট। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাজশাহী কলেজের সহশিক্ষা সংগঠনসহ বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। বেলা ১১টার দিকে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের শেষে প্রজন্মের পথিকৃৎ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ০৪ ফেব্রুয়ারি

Back to top button