মাদারীপুর

আজও লঞ্চ-ফেরি চলাচল বন্ধ কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে

মাদারীপুর, ২০ অক্টোবর- নাব্য সংকটের কারণে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচলও।

নৌরুটের চ্যানেলে নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচলের অচলাবস্থার পর এবার লঞ্চ চলাচলও হুমকির মুখে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। স্পিডবোট ও ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি দিতে হচ্ছে পদ্মা নদী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটের চায়না চ্যানেলে নাব্য সংকট থাকায় গত কয়েক মাস ধরেই ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কখনো ৪/৫টি ফেরি চলে আবার কখনো সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।

গত কয়েক মাস ধরে এই সমস্যা বিরাজ করায় দূরপাল্লার পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক বিকল্প রুট হিসেবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করে আসছে।

এদিকে ক্রমান্বয়ে চ্যানেলে পানি কমতে থাকায় গত এক সপ্তাহ ধরেই লঞ্চ চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। চ্যানেল অতিক্রম করতে গিয়ে লঞ্চের তলদেশ ডুবোচরে প্রায়ই আটকে যেত। তাছাড়া ডুবোচরে ধাক্কা লেগে গত এক সপ্তাহে কয়েকটি লঞ্চ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

আরও পড়ুন: নাব্য সঙ্কটের কারণে আবারও কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চ্যানেলের নাব্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করলে লঞ্চ বন্ধ রাখেন মালিক ও চালকরা। বিকেলের দিকে ছোট ১৫/২০টি লঞ্চ চললেও সন্ধ্যায় ডুবোচরে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ আটকা পড়ে।

দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে লঞ্চটি ডুবোচর মুক্ত হলেও শিমুলিয়া ঘাটে যেতে না পেরে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ফিরে আসে। ফলে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা গেছে, নাব্য সংকটের কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকেও বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। তবে স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় স্পিডবোটে যাত্রীদের চাপ বেশি। এছাড়া ফেরি চলাচলও স্বাভাবিক হয়নি। বন্ধ রয়েছে সকল ফেরি চলাচল।

বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সামসুল আবেদীন বলেন, ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। নাব্য সংকটের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো ফেরিই চলতে পারছে না।

বিআইডব্লিউটিএর কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, সকাল থেকে নাব্য সংকটের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন লঞ্চ মালিক ও চালকরা। চ্যানেলে যে পরিমাণ পানি আছে তাতে লঞ্চ অতিক্রম করতে পারছে না। ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে।

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ২০ অক্টোবর

Back to top button