সচেতনতা

কী এই ডেল্টা প্লাস ভেরিয়্যান্ট?

পুরবি জান

ভারত এখনও করোনা দ্বিতীয় ঢেউ থেকে মুক্ত হয়নি, এরই মধ্যে থার্ড ওয়েভের সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ভাইরাসের নয়া ভেরিয়্যান্ট ‘ডেল্টা প্লাস’ এর জেরে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় সরকার ডেল্টা প্লাস-কে ‘ভেরিয়্যান্ট অফ কনসার্ন’ আখ্যা দিয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই মিলেছে এই প্রজাতির প্রমাণ।

ডেল্টা ভেরিয়্যান্ট অর্থাৎ বি.১.৬১৭.২, যা প্রথমে ভারতে পাওয়া গিয়েছিল, পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ভাইরাসের এই রুপ নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দুনিয়া। ডেল্টা থেকেই ভাইরাস রূপ বদলে তৈরি হয়েছে ডেল্টা প্লাস। ইতিমধ্যেই দেশের মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ ও কেরল থেকে এর হদিশ পাওয়া গেছে। এছাড়াও, আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপান, সুইৎজারল্যান্ড-সহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে ডেল্টা প্লাসের প্রমাণ মিলেছে।

সুপার স্প্রেডার ডেল্টা প্লাস ভেরিয়্যান্ট
এখন পর্যন্ত যে সমস্ত ভেরিয়্যান্ট এসেছে তার মধ্যে ডেল্টা প্লাস প্রজাতি সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অর্থাৎ অনেক বেশি সংক্রামক হতে পারে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। জানা গিয়েছে, ডেল্টা প্লাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে আরও দ্রুত ফুসফুসকে আক্রমণ করতে পারে।

ডেল্টা প্লাস ভেরিয়্যান্টের উপসর্গ
করোনা ভাইরাসের রূপ পরিবর্তন করার পরে, এর লক্ষণেও কিছু পরিবর্তনও লক্ষ্য করা গেছে। ডেল্টা প্লাস ভেরিয়্যান্ট-এ আক্রান্ত হলে যে লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে – শুকনো কাশি, জ্বর, ক্লান্তি, গলা ব্যথা হতে পারে, শ্বাসকষ্ট হওয়া, স্বাদ ও গন্ধ চলে যাওয়া, ত্বকে ব়্যাশ বেরোনো, ডায়রিয়া, বুকে ব্যথা, মাথা ব্যথা, জয়েন্ট পেন, বমি ভাব, খিদে চলে যাওয়া, পেটে ব্যথা, পায়ের আঙুলের রঙ পরিবর্তন, ইত্যাদি। কোভিডের যে প্রতিষেধকগুলি এখন পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো এই নয়া ভেরিয়্যান্টের ক্ষেত্রে কার্যকর কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে গবেষকমহলে। এই নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। এছাড়া, কোভিড-১৯ এবং ডেল্টা প্লাস-এর মধ্যে মূল পার্থক্য খুঁজে বের করারও চেষ্টা চালাচ্ছে গবেষকরা।

এম এউ, ২৭ জুন

Back to top button