জাতীয়

করোনার টিকাকে সর্বজনীন পণ্য ঘোষণা করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, ২০ এপ্রিল – করোনার টিকাকে সর্বজনীন পণ্য ঘোষণা করা উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া যেসব দেশ করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করে না, তাদেরকে সহায়তা দিতে উৎপাদক দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পূর্ব রেকর্ড করা ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

করোনা মোকাবিলায় পারস্পরিক শক্তিশালী অংশীদারিত্ব প্রয়োজন এমনটা মন্তব্য করে দুর্যোগময় এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিশ্বসম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

আরও পড়ুন : করোনায় আরও ৯১ জনের মৃত্যু

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে সর্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য চিকিৎসা উপকরণের চাহিদা মেটাতে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর করতে সব দেশের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জিএভিআই এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোকে অবশ্যই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অধিকার, সাম্য এবং ন্যায় নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবন ও জীবিকার ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ মহামারির বিরূপ প্রভাব কাটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, যা আমাদের জিডিপির চার দশমিক চার শতাংশ।

কেউ যাতে পেছনে না থাকে, এমনকি মহামারি সংকটেও যাতে কেউ পেছনে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক গভর্নেন্সের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের প্রাধান্যে বিশ্বাস করে।–মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, এই মহাদেশটিতে বিপুল জনসংখ্যা, বিশাল বাজার এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, আমরা একসঙ্গে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি এসডিজি অর্জনেও সহায়তা করবে। একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমাদের সর্বোচ্চ প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা বাড়ানো দরকার।

তিনি বলেন, হাই-টেক পার্ক, ব্রডব্যান্ড এবং স্যাটেলাইট সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য কাঠামো তৈরি করেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমরা আমাদের তরুণদের উদ্ভাবনের জন্য প্রস্তুত করছি। এক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে সুবিধাগুলো বিনিময়ের মাধ্যমে পাশাপাশি আমরা সাইবার অপরাধসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারি।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ২০ এপ্রিল

Back to top button