জাতীয়

সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েই মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছি: ডিসি হারুন

ঢাকা, ১৮ এপ্রিল – হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ গ্রেপ্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডিসি হারুন বলেন, ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি হারুন বলেন, বায়তুল মোকাররম, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারির ঘটনার পর থেকেই তিনি নজরদারিতে ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আপাতত মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : হেফাজত নেতা মামুনুল হক মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার

তিনি বলেন, আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং আগামীকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) তাকে আদালতে তোলা হবে। কোন কোন মামলায় কি করা যাবে সেটা আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতনদের সাথে আলোচনা করে ঠিক করবো।

হারুন-অর-রশিদ বলেন, মামুনুলকে গ্রেপ্তারের সময় কোনও ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি।

নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতায় দেশে ১৭ জনের মৃত্যুর হয়। এসব সহিংসতার ঘটনায় সারাদেশে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। এসব ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা হিসেবে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের দিকেই সন্দেহের তীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সহিংসতার ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাতানামা আসামি করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি করেন।

সূত্র : আরটিভি
এন এইচ, ১৮ এপ্রিল

Back to top button