রাজশাহী

সুদহীন ঋণের প্রতারণার ফাঁদে ২০০ নারী

রাজশাহী, ২৯ জানুয়ারি – রাজশাহীতে সুদহীন ঋণ সুবিধা ও করোনাকালীন নারীদেরকে বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ৬টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাটাখালীর গোয়াবাসিনা গ্রামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মজিবুর রহমান। তিনি রাজশাহীর বুধপাড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান হাইস্কুলের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা।

জানা গেছে, গ্রামের নারীদের বিনা সুদে লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার কথা বলে তার সমিতিভুক্ত করতে থাকেন। নারীদের কাছে গাইবান্ধার ‘বাদিয়াখালী দুস্থ মাতা মহিলা সমিতি’ নামক একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের ফরম বিক্রি করেন মজিবুর রহমান। এজন্য প্রতি ফরমের মূল্য বাবদ তিনি এক হাজার টাকা নিতেন।

আরও পড়ুন : জামালপুরে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান

মজিবুর প্রলোভন দেখান, এক হাজার টাকা ফরম কিনে সমিতিতে ভর্তি হলে বিনা সুদে মিলবে দুই লাখ টাকার ঋণ। করোনাকালীন নারীদের বিশেষ সুবিধা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এই বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ প্রলোভনে পড়ে ওই গ্রামের ২০০ নারী তার কাছে থেকে সমিতির অন্তর্ভূক্ত হয়ে ফরম কেনেন। সমিতির সদস্য হওয়ার পর কেউ তার কাছ থেকে বা তার প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পাননি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আহমেদ জানান, মজিবুর রহমান প্রায় ১৫ দিন যাবৎ ভুয়া একটি এনজিও’র নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে গ্রামের নারীদের কাছে ঋণ দানের কথা বলে ‘ফরম বাণিজ্য’ করে আসছিল। ইতোমধ্যে তিনি ২০০ নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। ফরমের মূল্য ১৫০ টাকা হলেও সকলের কাছে এক হাজার টাকা করে বিক্রি করেছেন। এ ছাড়াও তার কাছে আরও ৫০০ টি ফাঁকা ফরম জব্দ করা হয়েছে। গোয়েন্দা খবরের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, মজিবুর তার কাজের সুবিধার জন্য ওই এলাকার এক কলেজ শিক্ষর্থীকে চাকরি দেয়। তার কাজ ছিলো ফরম পূরণ করে জমা নেওয়া। তাকে পার্টটাইম মাসিক বেতনে কাজে নিয়ে নিয়েছিলেন মজিবুর। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আহমেদ বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইনের আওতায় তাকে ৪৪ ধারা মোতাবেক ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে মজিবুরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সুত্র : আমাদের সময়
এন এ/ ২৯ জানুয়ারি

Back to top button