কুমিল্লা

ভোটের আগেই পৌরসভা নির্বাচনে সবাই পাস

কুমিল্লা, ১১ জানুয়ারি- কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভা নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মেয়রসহ ১২ কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কাশেম স্বেচ্ছায় নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বীশূন্য হয় লাকসাম পৌরসভা। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইকালে মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বেলাল রহমান মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের বিনা ভোটে নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, লাকসাম পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ড ও তিনটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি। ফলে আগামী ৩০ জানুয়ারি পৌর নির্বাচন আর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে বিজয়ীরা হলেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ উল্যাহ, ২ নম্বর ওয়ার্ডে খলিলুর রহমান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাসুদ হাসান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুল আজিজ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মুনছুর আহমেদ মুন্সী, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আবু ছায়েদ বাচ্চু, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শাহজাহান মজুমদার, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাম রাব্বানী। এ ছাড়া তিনটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে বিজয়ীরা হলেন ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাছিমা আক্তার, ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নাছিমা সুলতানা ও ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মুশফেকা আলম মিতা। বিনা ভোটে বিজয়ী সব কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে জড়িত বলে জানা গেছে।

আড়ও পড়ুন :  স্ত্রীকে ঘরে ‘আটকে রেখে’ কলেজশিক্ষকের আত্মহত্যা

এ ব্যাপারে প্রার্থিতা বাতিল হওয়া বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বেলাল রহমান মজুমদার জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন তাঁর সমর্থনকারীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে যথাসময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে হাজির হতে পারেননি ওই সমর্থনকারী। এরপর অন্যায়ভাবে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়।

তবে এসব ব্যাপারে লাকসাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, বেলাল রহমান মজুমদার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন তাঁর সমর্থনকারীকে যথাসময়ে হাজির করতে পারেননি। এ কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আর কাউন্সিলর পদের কয়েকজন প্রার্থী স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ কারণে ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি। ফলে এই পৌরসভায় মেয়রসহ ১২ কাউন্সিলর বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

সূত্র: কালের কন্ঠ

আর/০৮:১৪/১১ জানুয়ারি

Back to top button