চুয়াডাঙ্গা

পুলিশের এএসআইসহ দু’জন গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও ভারতীয় পণ্য উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা, ১১ অক্টোবর- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে পুলিশের এক এএসআইসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ১০ রাউন্ড গুলি ও ভারত থেকে পাচার করে নিয়ে আসা ৫৯ কেজি সিসা উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার রাতে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘড়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।

এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে দু’জনকে আসামি করে রোববার বিকালে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আটক পুলিশের ওই এএসআইয়ের নাম হুমায়ন কবির। তিনি চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তার সহযোগী জহিরুল ইসলাম ধন্যঘরা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদস্যসহ দু’জনকে অস্ত্র-গুলি ও সিসাসহ আটকের তথ্য জানান হয়।

আরও পড়ুন: গ্রাহকের ২ কোটি টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তা আটক

এতে বলা হয়, বিজিবির ফুলবাড়ি বিওপির একটি টহল দল শনিবার রাতে ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে টহল দিচ্ছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টহল দলটি দামুড়হুদা উপজেলার ধন্যঘড়া গ্রামের কাঠালতলা নামকস্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে একটি ইজিবাইক তল্লাশী করে গাড়িতে থাকা কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই হুমায়ন কবির ও তার সহযোগী জহিরুলকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ম্যাগজিন ভর্তি ১০ রাউন্ড গুলি ও ৫৯ কেজি সিসা জব্দ করে বিজিবি।

রোববার দিনভর নানা নাটকীয়তার পর দুপুরে বিজিবির ফুলবাড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে দু’জনকে অভিযুক্ত করে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ বিকালে কঠোর গোপনীয়তায় গ্রেপ্তারদের আদালতে সোর্পদ করলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সীমান্তে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শনিবার রাতে ওই দুই জনকে আটক করা হয়।

তবে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহব্বুর রহমান জানান, গোটা ঘটনাটি একটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আটক পুলিশ সদস্য হুমায়নের কাছ থেকে যে অস্ত্রটি উদ্ধার দেখানো হয়েছে সেটি সরকারি অস্ত্র।

একই সঙ্গে মামলায় বিজিবির পক্ষ থেকে অস্ত্রের অভিযোগ আনা হয়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে পুলিশের শৃঙ্খলাভঙ্গ ও পুলিশ ইমেজ নষ্টের কারণে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মামলা দিয়ে ইতিমধ্যে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র : দেশ রূপান্তর
এন এইচ, ১১ অক্টোবর

Back to top button