ইসলাম

প্রবীণদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে

প্রবীণদের প্রতি সম্মান দেখানো সব সমাজেরই অনুসরণীয় রীতি। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি যেন একটি মেসওয়াক দিয়ে দাঁতন করছি। আমার কাছে দুজন লোক আসল, একজন (বয়সে) অপরজনের চেয়ে বড়। আমি তাদের মধ্যে বয়োকনিষ্ঠকে মেসওয়াক দিতে উদ্যোগী হলে আমাকে বলা হলো, বড়কে দিন। অতএব আমি তাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠাকে মেসওয়াক দিলাম (বুখারি ও মুসলিম থেকে মিশকাতে)।

মর্যাদাবান ব্যক্তিকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া উচিত। এটি মহানবীর শিক্ষা। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : লোকদের সঙ্গে তাদের পদমর্যাদা অনুযায়ী আচরণ করো (আবু দাউদ থেকে মিশকাতে)।

আরও পড়ুন: ইসলামে গীবত হারাম

এ কথা ঠিক, ধনী-গরিব, সৎ-অসৎ, ছোট-বড় সবাই আইনের দৃষ্টিতে সমান। আল্লাহর নির্ধারিত আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাদের কারও প্রতি সামান্যতম পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। কিন্তু সামাজিক আচার-ব্যবহারের ক্ষেত্রে জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, তাকওয়া-পরহেজগারি ও অন্যান্য বিশেষ পদমর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। এ কথাকেই ‘পদমর্যাদা অনুযায়ী আচরণ করো’ বাক্যে বর্ণনা করা হয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো ব্যক্তিকে বিদায় দিতেন, তখন তার হাত ধরতেন এবং সে তার হাত না ছাড়া পর্যন্ত তিনি তার হাত ছাড়তেন না। তিনি বলতেন : ‘আমি তোমার দীনদারি, আমানতদারি ও সর্বশেষ আমলের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে দোয়া করছি। (তিরমিজি থেকে মিশকাতে)।

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের সঙ্গে সহজ-সরল ব্যবহার করতেন। সাহাবিদের জীবনাচারও ছিল সহজ-সরল। বাক্র ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিগণ (হাসি-তামাশার ছলে) পরস্পরের প্রতি তরমুজ ছুড়ে মারতেন। আবার যুদ্ধক্ষেত্রে তারাই ছিলেন বীর সৈনিক (আদাবুল মুফরাদ)।

এন এইচ, ১০ অক্টোবর

Back to top button