পর্যটন

নেপালের যে স্থানগুলো জীবনে একবার হলেও দেখে আসবেন!

সাবেরা খাতুন

হিমালয় পর্বতারোহণ বা বৌদ্ধের জন্মস্থান দর্শন- যে কারণেই হোক না কেন, নেপাল ভ্রমণ প্রত্যেক ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্যই হতে পারে আদর্শ স্থান। হিমালয়ের পাদদেশে চীন ও ভারত বেষ্টিত নেপাল দক্ষিণ এশিয়ার একটি ছোট দেশ। আমাদের এই গ্রহের আকর্ষণীয় ভুপ্রাকৃতিক বৈচিত্রময়তা যেমন- তুষারাবৃত পর্বত ও প্রায় ক্রান্তিও অরণ্য একসাথে থাকার কারণে জন্য গর্ব বোধ করে নেপাল। নেপালের জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ভিন্নতা, শত বছরের পুরোনো মন্দির ও কুঠি, রঙ্গিন উৎসব এবং অদ্ভুত পণ্য দ্রব্য এই সব কিছুই আকর্ষণ সৃষ্টি করে। নেপাল ভ্রমণে যেতে চাইছেন? তাহলে জেনে নিন নেপালের কোন স্থানগুলোতে জীবনে একবার হলেও ভ্রমন করে আসা উচিত!

১। কাঠমান্ডু
নেপালের সাংস্কৃতিক রাজধানী হচ্ছে কাঠমান্ডু। নেপাল ভ্রমণের উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা শুরু হয় কাঠমান্ডু থেকেই। কাঠমান্ডুতে পর্যটন দোকান, ট্র্যাকিং এজেন্সিস, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ধর্মীয় স্থান ও শিল্পের কর্মশালার বিশৃঙ্খল মিশ্রণ দেখা যায়। এই শহরের বিখ্যাত স্থান দরবার হলটি সাম্প্রতিক এক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয় যার মেরামতের কাজ চলছে। এখানে আরো অনেক ঘোরার যায়গা আছে। পাহারের উপরে প্রাচীন বৌদ্ধ কমপ্লেক্স সয়ম্ভুনাথকে না দেখে কেউ ফেরেনা।

২। অন্নপূর্ণা
অন্নপূর্ণার সবচেয়ে জনপ্রিয় পথ হচ্ছে অন্নপূর্ণা সার্কিট। অন্নপূর্ণা প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকা এবং পেশাদার পর্বতারোহীদের জন্য প্রিয় ট্র্যাক রুট। হিমালয়ের পশ্চিমাংশের কয়েকটি চূড়ার সারি এখানে অবস্থিত। অন্নপূর্ণার সবচাইতে উঁচু চূড়াটির উচ্চতা ৮০০০ মিটার। এর পাসের চূড়াটির উচ্চতা ৭০০০ মিটার। এই চূড়া গুলো সব সময় তুষারাবৃত থাকে যা পর্যটকদের চুম্বকের মত আকর্ষণ করে।

আরও পড়ুন: ছুটির দিনে বেড়াতে পারেন রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানগুলোতে

৩। নাগরকোট
নেপালের জনপ্রিয় আরেকটি পর্যটন স্থান হচ্ছে। এটি কাঠমন্ডু থেকে ৩২ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এখানকার হিমালয়ের সর্বোচ্চ শিখরের নাম প্যানরোমা। হিমালয়ের আরো কিছু চূড়া যেমন- মানাস্লু, গণেশ হিমেল, লেঙ্গান, চোবা ভাম্রি গৌরীশঙ্কর নাগরকোট থেকে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়।

৪। পোখরা
কাঠমন্ডুর প্রতিবেশী শহর পোখরা জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় স্থান। এটি নেপালের তৃতীয় বৃহত্তম শহর যা অন্নপূর্ণা চূড়ার বেজ ক্যাম্পের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। এখানে সাধারণত ২৫ দিনের একটি ট্রেকিং ট্যুরের অফার পাওয়া যায়। এই শহরে তিনটি বিখ্যাত হ্রদ আছে, এদের একটি হল ফেউয়া লেক।

৫। লুম্বিনি
তীর্থ যাত্রীদের স্থান হচ্ছে লুম্বিনি, কারণ এটাই সিদ্ধারত গৌতম বা বৌদ্ধের জন্মস্থান। এটি নেপালের দক্ষিনপশিমাঞ্চলের একটি ছোট্ট শহর। প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবে এটি ৫৫০ খ্রিষ্ট পূর্বের নিদর্শন বহন করছে। এই পৌরাণিক স্থানটি জ্ঞানী, বিজ্ঞানী এবং কৌতোহলী দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। বৌদ্ধের মাতা মায়া দেবী বাগানের একটি গাছের কাছে বৌদ্ধের জন্ম দিয়েছিলেন। সেখানে তার নামে একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। জাপানিজ আর্কিটেক্ট কেঞ্জু টাংজি এটির নকশা করেছেন। একটি ছোট পার্কের মাঝখানে এটি স্থাপন করা হয়েছে। এই কমপ্লেক্সে একাধিক মঠ, পবিত্র পুকুর, মেডিটেশন সেন্টার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সুবিধা আছে।

আরো যে স্থান গুলোতে ঘুরতে পারেন তাহল জানকপুর, খুম্ব, চিতন জাতীয় উদ্যান, পাটান, বাখতাপুর, কাকানি, কিরতিপুর, কোপান মঠ, সাঙ্খু ইত্যাদি।

এন এইচ, ২৪ অক্টোবর

Back to top button