গবেষণা

ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজ ডেল্টার বিরুদ্ধে কার্যকর : গবেষণা

ফাইজার অথবা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার দুটি ডোজ করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) ডেল্টা প্রতিরোধে উচ্চমাত্রায় কার্যকর। এর মাধ্যমে ভালোভাবেই করোনার আলফা ভ্যারিয়েন্টও প্রতিরোধ সম্ভব। সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফলাফলে আশাব্যঞ্জক এ তথ্য উঠে এসেছে।

গত বুধবার নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে এ গবেষণার ফলাফল। এতে দেখা গেছে, দুটি টিকারই দুই ডোজ গ্রহণকারীরা বিশ্ব-কাঁপানো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে অধিক সুরক্ষা পাচ্ছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি টিকার দুই ডোজ ডেল্টা সংক্রমণে সৃষ্ট উপসর্গযুক্ত অসুস্থতা প্রতিরোধে ৮৮ শতাংশ কার্যকর। আর আলফা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতা ৯৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

এছাড়া, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৬৭ শতাংশ এবং আলফার বিরুদ্ধে ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর। এর আগে এই টিকা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে ৬০ শতাংশ কার্যকর জানা গিয়েছিল। কিন্তু নতুন গবেষণায় সেটির কার্যকারিতা আরও বেশি প্রমাণিত হয়েছে।

পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের (পিএইচই) গবেষকরা বলেছেন, দুই ডোজ নেয়ার পরে আলফা ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে টিকাগুলোর কার্যকারিতায় খুব সামান্যই পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে।

পিএইচই এর আগে জানিয়েছিল, ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা উভয় টিকার প্রথম ডোজ ডেল্টা সংক্রমণে উপসর্গযুক্ত অসুস্থতা প্রতিরোধে প্রায় ৩৩ শতাংশ কার্যকর। বুধবার প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ ৩৬ শতাংশ এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার প্রথম ডোজ প্রায় ৩০ শতাংশ কার্যকর।

কাজ করছে অন্য টিকাগুলোও
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে অবস্থিত বেথ ইসরায়েল ডিকনেস মেডিক্যাল সেন্টার জানিয়েছিল, জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি এক ডোজের করোনা টিকা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে এবং এর সুরক্ষা ক্ষমতা টিকে থাকে আট মাস পর্যন্ত।

গত জুনে রাশিয়াও বলেছিল, তাদের স্পুটনিক ভি করোনা টিকা অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর। এর আগে, করোনার মূল ধরনের বিরুদ্ধে এটি ৯২ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন রুশ গবেষকরা।

অবশ্য রাশিয়ার স্পুটনিক ভি করোনা টিকার বিরুদ্ধে কিছুটা সমালোচনাও রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই এটি ব্যবহার শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। টিকাটি এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/২২ জুলাই ২০২১

Back to top button