জাতীয়

স্বাস্থ্যে করোনায় আক্রান্ত যারা

ঢাকা, ০৩ এপ্রিল – করোনাভাইরাসে সংক্রমণ সংখ্যা ফের বাড়ছে। যার ঢেউ লেগেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়তেও। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব কামরুল হাসান, অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের লাইন ডিরেক্টর ডা. মিজানুর রহমানসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা।

এর মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনার টিকা নিয়েছিলেন আব্দুল মান্নান। গত মঙ্গলবার তার কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

আরও পড়ুন : সপরিবারে করোনা আক্রান্ত বিএনপি নেতা সোহেল

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বৃহস্পতিবার। ফেসবুকে তিনি নিজেই করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে নাসিমা লেখেন, ‘বিরতিহীনভাবে একটানা ৩৬৫ দিনের বেশি অফিস করবার পর উপসর্গসহ করোনায় আক্রান্ত হলাম। মহান আল্লাহ এই মহামারি থেকে মানবজাতিকে, বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করুন। আমিন।’

নাসিমা সুলতানা দেশের প্রথম পাঁচ টিকা গ্রহণকারীর একজন। দেশে গত ২৭ এবং ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হয়। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা ২৭ জানুয়ারি টিকা নেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের লাইন ডিরেক্টর ডা. মিজানুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হন গত ২০ মার্চ। করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পর পরীক্ষা করা হলে তাদের রেজাল্ট পজিটিভ আসে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরুর পর প্রথম দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছিলেন মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। দেড় মাসের মাথায় টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার আগেই তার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে।

উল্লেখ্য, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল নয় হাজার ১৫৫ জনে। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ছয় হাজার ৮৩০ জনের। যা এ পর্যন্ত বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জনে।

বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ ভাইরাসটিতে প্রথম মৃত্যু হয়।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ০৩ এপ্রিল

Back to top button