অন্যান্য

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় বাংলাদেশ গেমস

ঢাকা, ৩১ মার্চ – বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম চত্বরে পা রাখার জায়গা নেই। ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, দোকানদার, ক্রেতা, হকার, ভাসমানমানদের পদচারণায় পুরো এলাকা যেন মানুষের কুন্ডলী। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়ানুষ্ঠান উদ্বোধনের ঠিক আগের সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পরিবেশটা ছিল বড্ড বেমানান। স্টেডিয়ামের চত্বর দিয়ে হু হু করে গাড়ী-ঘোড়া তো চলছেই। অথচ এবারের বাংলাদেশ গেমসটা জাতির পিতার নামে।

স্টেডিয়ামের ভেতরে চলছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। বাইরের পরিবেশ অন্য দিনগুলোর মতোই। এক-দুটা দিনও স্টেডিয়াম চত্বরটি নিজেদের করে পেলো না ক্রীড়াবিদরা। অথচ দেশের ক্রীড়ার প্রধান কেন্দ্র এই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম চত্বর।

আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধু কাবাডি: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবম বাংলাদেশ গেমস আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। তবে স্টেডিয়ামে এসে নয়, তিনি উদ্বোধন করবেন ভার্চুয়ালি। যে কারণে স্টেডিয়াম চত্বরকে খেলাধুলার পরিবেশ উপযোগী করার উদ্যোগ নেই আয়োজক বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ।

বাংলাদেশ গেমস মানেই জমকালো উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান; কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা, দর্শকের সুরক্ষার প্রয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনে কাটছাঁট করতে হয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে (বিওএ)।

উদ্বোধন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশদ্বারগুলো দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হবে বিকাল ৩ টায়। সাড়ে ৫টা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। এরপর অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনীর মাধ্যমে পর্দায় তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের খেলাধুলার উল্লেখযোগ্য সাফল্যগাঁথা।

সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় জাতীয় সঙ্গীতের পরপরই শুরু হবে অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী। যার মাধ্যমে এক ঝলকে তুলে ধরা হবে দেশের খেলাধুলার নানা ইতিহাস-ঐতিহ্য। দলগুলো মাঠে প্রবেশ করবে ৬টায় ৫২ মিনিটে। এরপর প্রতিযোগিতার শপথবাক্য পাঠ করাবেন দেশের তারকা আরচার রোমান সানা।

৭টা ৮ মিনিটে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। শুভেচ্ছো বক্তব্য রাখবেন বিওএ সভাপতি ও গেমসের সাংগঠনিক কমিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

সোয়া ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি গেমসের উদ্বোধন ঘোষণার পর মশাল প্রজ্জ্বলন করবেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শীলা।

অনুষ্ঠানের শেষ দিকে থাকবে মাসকট প্যারেড, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে নিয়ে প্রদর্শনী। স্টেজ শো। সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া লেজার শো এবং আতশবাজি প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ৩১ মার্চ

Back to top button