ফরিদপুর

ভাঙ্গা থানায় হামলা: মামলায় আসামি ৩০০, আটক ৭

ফরিদপুর, ২৯ মার্চ – ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় রবিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩০০ জনের নামের মামলা দায়ের করেছেন। হামলায় জড়িত ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ওসি সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, পরিকল্পিতভাবে থানায় এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত ওসমান ব্যাপারী, সালমান হুসাইন, সুয়াইব মোল্লা, আমজাদ মিয়া, আশরাফুজ্জামান, সৈয়দ আমিরুজ্জামান ও রফিকুল আসলাম নামের ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ফরিদপুরে ভাঙ্গায় থানায় হামলা, আহত ৬ পুলিশ

গত শনিবার (২৭ মার্চ) ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হেফাজতে ইসলাম ও চরমোনাই পীরের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির গোপালগঞ্জ সফরের পর ভিআইপিদের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ঢাকায় ফেরা পণ্ড করার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয় বলে পুলিশের দাবি।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুর দুইটার দিকে জোহরের নামাজের পর ভাঙ্গা থানা সংলগ্ন জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম ঈদগাহ মাদ্রাসা থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ভাঙ্গা বাজার ঘুরে বিশ্বরোড এলাকায় যায়। পরে বিশ্বরোড থেকে ফিরে মিছিলের জনতা ভাঙ্গা থানার কাছে ঈদগাহ মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হয়। মিছিলকারীরা ওই মাঠ থেকে লাঠি ও কাঠের বাটাম সংগ্রহ করে বেলা সোয়া ২টার দিকে ভাঙ্গা থানায় হামলা করে। দুই থেকে আড়াইশত মানুষ অতর্কিত এ হামলা চালায়।

এ ঘটনায় আহত হন ভাঙ্গা থানার এসআই মো. শহীদুল্লাহ (৪৭), আবুল কালাম আজাদ (৩৪), এএসআই আজিজুল রহমান (৩২), কনস্টেবল জয়নাল আবেদিন (৩৫), শাহ জালাল (২৭) ও মতিউর রহমান (৪৬)। তাদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
এন এইচ, ২৯ মার্চ

Back to top button