ঢাকা

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করলেন স্বামী!

ঢাকা, ০৩ ফেব্রুয়ারি – ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে স্ত্রী জোসনা আক্তারকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুমনের (২৮) বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া এলাকার পশ্চিমদি গ্রামের মোল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকালে সুমন পালানোর সময় তার শ্বশুর জাফর হাওলাদারকে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেন।

নিহত জোসনার ছোট বোন হোসনেয়ারা বেগম বলেন, ‘আজ সকালে ঘরে ঢুকে দেখি, আমার বোনকে সুমন নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সে আমার বোনের পেট কেটে ফেলেছে। হাতের রগ কেটেছে। পিঠে চাকু মেরেছে। আমার বোনকে হত্যাকারী সুমনের কঠিন বিচার চাই।’

খবর পেয়ে আজ সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

জানা যায়, সুমন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি কারখানায় বই বাইন্ডিংয়ের কাজ করেন। তাদের পরিবারে ছয় বছরের লামিয়া ও সাড়ে তিন বছরের সামিয়া নামের দুজন কন্যা সন্তান রয়েছে। জোসনার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার লেতরা গ্রামে। সুমনের বাড়ি ঝালকাঠির নলসিটি রায়পুরে।

আরও পড়ুন : বিতর্কিতদের অভিযোগ ‘ছাত্রলীগে আবারও বিতর্কিতরা’

নিহত জোসনার বাবা জাফর হাওলাদার বলেন, ‘১৩ বছর আগে ঢাকায় বসে জোসনা আক্তারের সঙ্গে সুমনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর জানতে পারি সুমন মাদকাসক্ত। ঠিকভাবে সংসারের খরচ দেয় না। তাই আমার ভাড়া বাসার পাশের বাড়িতে ওদের বাসা ভাড়া করে দেই। সুমন বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ ও অত্যাচার করে আসছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সামান্য রিকশাচালক। তারপরও যখন যেভাবে পেরেছি সাহায্য করেছি। আজ সকালে খবর পাই, গতকাল রাতে আমার মেয়েকে মেয়ের জামাই সুমন মারধর করেছে। সকালে মেয়ের বাসায় যাবার পথে আমাকে সুমন শক্ত লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সাথে সাথে আমি মাটিতে পড়ে যাই। এই সুযোগে সুমন মেয়ে দুটিকে আমার অটোরিকশায় নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে জানতে পারি সে আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।’

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘তেঘরিয়া পশ্চিমদি এলাকায় খুনের ঘটনা ঘটেছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের হাতের রগ ও নিন্মাঙ্গে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরতহাল শেষে লাশ মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

সূত্র: আমাদের সময়
এন এ/ ০৩ ফেব্রুয়ারি

Back to top button