জাতীয়

সিরাজগঞ্জের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বললেন ওবায়দুল কাদের

ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আমলে নির্বাচন মানেই ছিলো হানাহানি, সংঘাত আর প্রাণহানি। বর্তমান সরকারের সময় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচনে হানাহানি ও অস্ত্রের মহড়া বন্ধ হয়েছে। সিরাজগঞ্জে যে সংঘাত হয়েছে, তা দুঃখজনক।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) সকালে সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাদের ভবিষ্যতে আরো কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে।

আরও পড়ুন :  বঙ্গোপসাগরে বিলাসবহুল প্রমোদতরী

তিনি বলেন, নেতৃত্বের দুর্বলতা আর অস্বচ্ছ রাজনীতিই বিএনপিকে ভোটের রাজনীতি থেকে দিন দিন পিছিয়ে দিচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা জনগণের কাছে ভোট না চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারকেই ব্রত হিসেবে নিয়েছে, যা তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে দুর্বল করে তুলছে।

তিনি বলেন, যারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচন নিয়ে কথায় কথায় হতাশা প্রকাশ করে, গতকালের নির্বাচনে জনগণ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে।

‘ভোটকেন্দ্র সরকারি দলের দখলে ছিলো’- বিএনপির এ অভিযোগ প্রসঙ্গে পাল্টা প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাহলে তাদের চারজন প্রার্থী কীভাবে বিজয়ী হলেন?

তিনি বলেন, পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না এবং দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা জয়ী হোক কিংবা পরাজিত হোক পরবর্তী নির্বাচনে আর মনোনয়ন পাবে না, এটাই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত।

দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যারা বিজয় লাভ করেছেন, তাদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা এবং সমৃদ্ধির বিজয়। এ বিজয় গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার বিজয়।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসেবে বলা হয়েছে গতকালের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিও ছিলো আশাব্যঞ্জক। সূত্র মতে, ভোটার উপস্থিতি ছিলো ৬০ থেকে ৭০ ভাগ। এ ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শেখ হাসিনা সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের অব্যাহত আস্থারই বহিঃপ্রকাশ। ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ২৯টিতে ইভিএম এবং ৩১টিতে ব্যালটে ভোট হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ইভিএমে জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাদের মধ্যে কোনো জড়তা ছিলো না। ইভিএমে ভোট দিতে জনগণের আগ্রহ এখন অনেক বেড়েছে।

উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচনে সদ্য বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী তরিকুল ইসলাম (৪৫) বিজয় উদযাপনের সময় ছুরিকাঘাতে নিহত হন। তিনি নতুন ভাঙ্গাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ছয় নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হন।

সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি

আর/০৮:১৪/১৭ জানুয়ারি

Back to top button