ইসলাম

মৃত ব্যক্তির নামে কোরআন খতম-চল্লিশা কি বলে ইসলাম?

আমাদের সমাজে একটা রীতি প্রচলিত রয়েছে সেটা হলো- কোন ব্যক্তি যদি মারা যায়, তাহরের মারা যাওয়ার সাত দিনের পর অথবা মারা যাওয়ার পর প্রথম শুক্রবার আল কোরআনের হাফেজদের ডেকে কোরআন খতম করানো। এছাড়া মৃত্যুর চল্লিশ দিনের মাথায় বিশাল মজলিশের মাধ্যমে মেজবানের আয়োজন করা হয়। ইসলামে মূলত এগুলো জায়েজ আছে কিনা জানতে হলে নিচের বর্ণনাটি পড়ুন।

মেজবান বলতে বোঝায় মানুষকে খাওয়ানো। লোকদের খাওয়ানো একটি ভালো কাজ। বুখারি শরিফের মধ্যে রাসুল (সা.) বলেছেন, এটি একটি আফতারুল ইসলাম, ইসলামের মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ কাজ। সুতরাং আপনি লোকদের খাওয়াইতে পারেন; কিন্তু সেখানে আনুষ্ঠানিকতা চার দিনে, ১০ দিনে, চল্লিশা ইত্যাদি করেন তাহলে আপনি সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ করলেন।

আরও পড়ুন: শিশুদেরকে মসজিদে নেওয়া যাবে কি যাবে না?

সে ক্ষেত্রে সওয়াব তো দূরের কথা, বেদাত হওয়ার কারণে আপনি বড় ধরনের কবিরা গুনাহর মধ্যে লিপ্ত হয়ে গেলেন। সুতরাং এ ধরনের কাজ করবেন না, তাহলে আমলও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একাধিক হাদিস দ্বারা এই ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তাই মেজবান বা চল্লিশা এ জাতীয় নাম না দিয়ে আপনি যেকোনো দিন আপনার সুবিধামতো আত্মীয়স্বজন বা গরিবদের খাওয়াতে পারেন, মৃত ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করতে পারেন।

এরপর কোরআন খতম আপনি নিজে করবেন। কোরআন খতম করে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করবেন। মৃত ব্যক্তির জন্য কোরআন খতম করার বিষয়টি রাসুলুল্লাহ (সা.) অথবা সাহাবিদের আমল দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। এটাও আমরা নিজেরাই আবিষ্কার করে নিয়েছি।

মৃত ব্যক্তির জন্য কোরআন খতম না করে কোরআন খতম আমরা নিজেরাই করব, তারপর আমরা লোকদের মেজবান খাওয়াব। আমরা মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে দান-খয়রাত করব, ছদকায়ে জারিয়া করব। আর বেশি বেশি করে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করব। এটা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

এন এইচ, ২৬ অক্টোবর

Back to top button