বরিশাল

বরিশালে আরও একটি করোনা ইউনিট চালু

বরিশাল, ১৩ জুলাই- সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে। এতে শয্যা সঙ্কট দেখা দেয়। বেড খালি না থাকায় রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

এ অবস্থায় বরিশাল জেলা সদর হাসপাতালে ২২ শয্যার আরও একটি করোনা ইউনিট চালু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঁচজন চিকিৎসককে নিয়োজিত করা হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে সেখানে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ১০ থেকে ১২ দিন ধরে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীর চাপ বাড়ছে। চাপ সামলাতে করোনা ইউনিটে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়। গত ১০ দিনে ইউনিটে ১০০ শয্যা বাড়ানো হয়েছে। করোনা ইউনিটে ৩০০ শয্যার বিপরীতে সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে রোগী ভর্তি ছিলেন ৩০৭ জন। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগীকে সেবা দেয়াটা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে করোনা ইউনিটে কমবেশি সবাইকে ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করতে হচ্ছে।

বর্তমানে অক্সিজেনের উৎপাদন ও সরবরাহে কোনো সঙ্কট নেই। তবে রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে গেলে সেটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে। বিষয়টি আগেই বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানানো হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, ‘বরিশাল বিভাগে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। চলতি (জুলাই) মাসে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে অতিরিক্ত রোগী সামাল দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে। রোগীর চাপ সামলাতে বরিশাল জেলা সদর হাসপাতালের ৫ নম্বর ভবনে থাকা দুটি ওয়ার্ড নিয়ে ২২ শয্যার আরও একটি করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। রোগীর চাপ আরও বাড়তে থাকলে সেখানে ১০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হবে।’

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, ‘করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কয়েকদিন আগে সদর হাসপাতালের একটি ভবনকে প্রস্তুত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। নির্দেশনা মত গত দুই দিনে হাসপাতালের ৫ নম্বর ভবনে থাকা পুরুষ ডায়রিয়া ওয়ার্ড ও নারী মেডিসিন ওয়ার্ড অন্য ভবনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানে করোনা রোগীদের জন্য ২২টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

সূত্রঃ জাগো নিউজ

আর আই

Back to top button