তুমুল লড়াই করে ৪ প্রদেশের ২৪ গ্রামে পতাকা উড়াল আজারবাইজান
বাকু, ২০ অক্টোবর- গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। এই সংঘাতে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। সংঘাতে নিজ দেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে আর্মেনিয়া।
এদিকে আর্মেনিয়ার সঙ্গে তুমুল লড়াই করে জাঙ্গালিয়া শহরসহ চার প্রদেশের ২৪ গ্রামে পতাকা উড়াল আজারবাইজান। এগুলো হল-জাঙ্গালিয়া প্রদেশের জাঙ্গালিয়া শহর ও প্রদেশটির ছয়টি গ্রাম। এছাড়া অপর প্রদেশগুলো হল-ফুজুলি, জাবরাইল ও খোজাভেন্ড। এই প্রদেশগুলোর ১৮ গ্রাম দখলমুক্ত করা হয়। আর্মেনিয়ার দখল থেকে এসব অঞ্চল প্রায় দীর্ঘ ৩০ বছর পর দখলমুক্ত করেছে আজারবাইজান।
মঙ্গলবার এক ঘোষণার মাধ্যমে এ কথা জানান আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।
আরও পড়ুন: ইসরাইলে দূতাবাস খুলতে অনুরোধ আমিরাতের
প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ বলেন, জাঙ্গাইল শহর দখলকারীদের কবল থেকে মুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি জাঙ্গাইল প্রদেশের হাভালি, জারনালি, মামমাদবাইলি, হাকারি, শারিফান এবং মুগানলি গ্রাম মুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া ফুজুলি প্রদেশের দর্দচিনার, কুর্দলার, ইউখারি আবদুরহমানলি, গরঘাবাজার, আশাঘি ভিসল্লি, ইউখারী আইবাসানলি গ্রাম; জাবরাইল প্রদেশের সারাফশা, হাসাংগাইদি, ফুঘানলি, ইমামবাঘি, দাস ভেইসালি, আঘতাপা ও ইয়ারামাদলি গ্রাম; খোজাভেন্ড প্রদেশের আঘজাকান্দ, মুলকুদারা, দাশবাশি, গুনাশলি ও ভাং গ্রাম দখল মুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি এই গ্রামগুলোর নতুন আজারবাইজানি নাম দিয়েছি। হেরেইনাফতার ও ভাং গ্রামের পরিবর্তিত নাম হবে সিনারলি গ্রাম। নামটি ধন্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
আর/০৮:১৪/২০ অক্টোবর
