রূপচর্চা

পেঁয়াজ দিয়ে যেভাবে সুন্দরী হবেন

খাবারের গন্ধ ও স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও অনেক কাজের কাজি পেঁয়াজ। শুধু চেহারা নয়, চুলের সৌন্দর্যও বাড়াতে ব্যবহার করা হয় এই মসলা। উজ্জ্বল চুল পেতে চাইলে নামিদামি ব্র্যান্ডের শ্যাম্পুর ওপর নির্ভর না করে বরং রান্নাঘরে ঢুঁ মেরে একটা পেঁয়াজ আনুন। সমপরিমাণ নারিকেল বা জলপাইয়ের তেলের সঙ্গে পেঁয়াজ বাটা মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে একটি টাওয়েল দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে রাখুন। ঘণ্টা দুয়েক পর চুল আঁচড়ে পছন্দের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

প্রাকৃতিকভাবেই এসিডিক পেঁয়াজ মাথার তালুর কোষগুলোকে উজ্জীবিত করায় চুল হয়ে ওঠে ঝলমলে। বহু শতাব্দী আগে থেকেই চুল লম্বা করতে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহারকরা হয়। এটি নিয়মিত লাগালে লম্বার পাশাপাশি ঘনও হয় চুল।এ তো গেল একটা দিক। অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজ। পোকার কামড় বা হুল ফোটানো স্থানে এক টুকরো পেঁয়াজ ঘষতে থাকুন। খানিক পর দেখবেন, জ্বলুনি কমে আসবে। পেঁয়াজে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে, যা অ্যালার্জি প্রতিরোধী ও ব্যথানাশক। ব্রিটেনের অ্যালিস রবিনসন পেঁয়াজের এমনই কিছু চমকপ্রদ ব্যবহার শিখিয়েছেন।পেঁয়াজের ছোঁয়ায় সুন্দরী!

এ ছাড়া ত্বকের কালো দাগ দূর করতেও কার্যকর পেঁয়াজ। বাটা পেঁয়াজের প্রলেপ ত্বকের শুষ্ক কোষকে প্রাণবন্ত করে এবং মরা কোষগুলো তুলে ফেলে। ল্যাকটিক এসিড এ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে বলে দইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। এটি ব্রণ, মেসতা এসবের হাত থেকেও ত্বককে বাঁচায়। কেবল মুখের ত্বকই নয়, কনুইয়ের কালচে ছোপ দূর করতেও কাজে লাগাতে পারেন পেঁয়াজের রস। এক মগ গরম পানিতে কয়েক টুকরো পেঁয়াজ ছেড়ে দিন। তার পর কনুই ভাঁজ করে তাতে ডুবিয়ে রাখুন। এভাবে কয়েক মিনিট রাখুন। প্রতিদিন নিয়মিত এটি করলে ধীরে ধীরে কালচে দাগ কমে আসবে।

পেঁয়াজের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ব্যথারোধী গুণের কথা উল্লেখ করে ব্রিটেনের এসেক্সে অবস্থিত উডফোর্ড মেডিকেল ক্লিনিকের চিকিৎসক মারভিন প্যাটারসন বলেন, ব্যবহারের আগে খেয়াল রাখতে হবে আপনার চামড়া এটিকে সহ্য করতে পারে কি-না। তা ছাড়া পেঁয়াজের উৎকট গন্ধও অনেকে সহ্য করতে পারেন না।

এস সি

Back to top button