যূক্তরাষ্ট্র

৫ বাংলাদেশির সাফল্য নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে

নিউ ইয়র্ক, ৩১ মার্চ – ভোলার লালমোহন উপজেলার সন্তান মো: শামসুদ্দিন নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। শামসুদ্দিনের সাথে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পয়েছেন আরও ৩ বাংলাদেশি। তারা হলেন- আবু তাহের ফিরোজ, মো. চৌধুরী ও ড. রাজুব ভৌমিক। এছাড়া নিউইয়ক সিটি পুলিশ বিভাগে লেফট্যানেন্ট পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বাংলাদেশের আরেক সন্তান সাজেদুর রহমান।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক পুলিশের সদর দপ্তর ওয়ান পুলিশ প্লাজায় এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পদোন্নতির সনদ তুলে দেন পুলিশ কমিশনার ডারমোট শিয়া। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-আমেরিক পুলিশ এসাসিয়েশন (বাপা) এর নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন : নিউইয়র্ক পুলিশের লে. কমান্ডার পদে বাংলাদেশি শামসুল

মো: শামসুদ্দিন লালমোহন উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৯৭ সালে প্রথম বিভাগ পেয়ে এসএসসি, সরকারী সাহবাজপুর কলেজ থেকে ১৯৯৯ সালে প্রথম বিভাগ পেয়ে এইচএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে বিএসসি (অনার্স) সম্পন্ন করে ২০০৫ সালে ডিভি ভিসায় নিউইয়র্কে চলে যান। সেখানে নিউইয়র্ক সিটি কলেজে তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পুনরায় অনার্সে ভর্তি হন। একই সাথে ২০০৬ সালে তিনি নিউইয়র্ক ট্রাফিক পুলিশ বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০১১ সালে অনার্স সম্পন্ন হলে ২০১২ সালে তিনি এনওয়াইপিডি নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ অফিসার (পিও) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। চৌকস দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিশীল সামসুদ্দিন ২০১৬ ও ২০১৭ সালে টানা দুবার বর্ষসেরা পুলিশ আফিসারের এওয়ার্ড প্রাপ্ত হন। ২০১৭ সালে সামসুদ্দিন পুনরায় পদোন্নতি মেধা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। করোনা মহামারীর কারনে দেরীতে হলেও গত গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক পুলিশ একাডেমীর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তাকে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ আমেরিকা পুলিশ এসোসিয়েশন (বাপা) এর সক্রিয় সদস্য মো: শামসুদ্দিন পারিবারিক জীবনে স্ত্রী জাকিয়া ফাহমিদা (অরিন) ও তিন ছেলে-মেয়ে শামরিন, শামির ও আবরারকে নিয়ে নিউইয়র্কের গ্লিসন এভিনিউর নিজ বাড়ীতে বাস করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে শামসুদ্দীন ভোলা জেলার লালমোহন পৌরসভার বাসিন্দা আলহাজ আনিসুল হক ও বিবি মরিয়ম বেগমের পুত্র।

উলেখ্য, বর্তমানে নিউইয়র্ক পুলিশে দুই শতাধিক নিয়মিত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার ও সহস্রাধিক বাংলাদেশি ট্রাফিক এজেন্ট রয়েছেন। ট্রাফিক ভিাগের নির্বাহী কর্মকর্তা তথা ম্যানেজার পদেও কর্মরত রয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশী।

এন এইচ, ৩১ মার্চ

Back to top button