পাবনা

পাবনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১৩ জন আহত

পাবনা, ১৫ অক্টোবর- পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক গৃহবধূকে উত্ত্যক্তর ঘটনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১৩ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার সকালে উপজেলার খাঁন মরিচ ইউনিয়নের দাসবেলাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- দাসবেলাই গ্রামের আব্দুল গফুর (৫৫), মমিন (৩৫), মমেনা খাতুন (৪০),নজরুল (৪০), জহির (৬০), আলাউদ্দিন (৩০), বাছিয়া খাতুন (৪০), মফিদুল (৩৫), শহিদুল (৩০), আনিছুর (৩৫) ও রুহুল আমিন (৫০)। এদের মধ্যে তোরাব আলী (৮০) ও ফজলুকে (৪০) রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গফুর আলীর পরিবারের এক নারীকে একই গ্রামের মৃত আছান আলীর ছেলে মফিদুল ইসলাম (৩৮) কয়েকদিন আগে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে গফুর আলী বাদী হয়ে গ্রামের প্রধান আবু জল প্রামানিক ও বেল্লাল হাজীর কাছে পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে বিচার প্রার্থনা করেন। কিন্তু প্রধানগণ অভিযুক্ত মফিদুল ইসলামের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে উল্টো গফুর আলীর বাড়িতে বুধবার সকালে তারা সাশাতে যান। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্যান্ডেলের ভেতর দেড় কেজি সোনা, আটক ৩

এর আগে পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী বখাটে মফিদুল ইসলাম ধারালো ছুড়ি ও লাটিসোটা নিয়ে গফর আলীর বাড়ির পিছনে অপেক্ষা করছিল। বেল্লাল হাজী ও আবুজল হুংকার দিয়ে তাদের ডাকা মাত্র ২০/২৫জন ঝাপিয়ে পড়ে গফুর গংদের উপর। হামলাকারীরা তোরাপ আলী ও ফজলুল হককে কুপিয়ে জখম করে এবং একই পরিবারের গফুর আলীসহ অপর ১৩ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মাথায় জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন। খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসাধীন গফুর আলী বলেন, খানমরিচ ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি বেল্লাল হাজীর নেতৃত্বে একদল লোক ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বাড়ির উপর এসে অতর্কিত হামলা করে পরিবারের ৯/১০জনকে জখম করেছে।

ভাঙ্গুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সহকারী পুলিশ সুপার সজীব সাহরিনের সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর তারা নিয়েছেন। তবে বিকালে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই লিখিত অফিযোগ দেয়নি।

সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ
এন এইচ, ১৫ অক্টোবর

Back to top button