ক্রিকেট

এমন হারের কারণ জানালেন মুমিনুল

ঢাকা, ০৭ ফেব্রুয়ারি – প্রথম ইনিংসে মিরাজের সেঞ্চুরিতে ৪৩০ রান। পরে মিরাজ-তাইজুল ঘূর্ণিজাদুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৯ রানে গুটিয়ে দেওয়া। এরপর ২২৩ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে প্রতিপক্ষকে ৩৯৫ রানের লিড ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ।

এমন সমীকরণ নিয়ে জয়ের স্বপ্নে পঞ্চম দিন মাঠে নামে মুমিনুল বাহিনী। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে ক্যারীবিয় ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় ইতিহাস গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩ উইকেটে টাইগারদের হারায় ওইন্ডিজ।

হারের পর এখনও স্বস্তি ফিরে পাননি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। এ পরাজয়কে অপ্রত্যাশিত ও অবিশ্বাস্য বলে ঠেকছে তার কাছে এখনও।

সেটাই স্বাভাবিক। স্পিনার তাইজুলের মতে, চট্টগ্রামের এ মাঠে চতুর্থ ইনিংসে ২৫০ রান করাই কষ্টসাধ্য। আর সেখানে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্স একাই করলেন ২১০। এ কী বিশ্বাস করা যায়?

তাই তো মায়ার্সের প্রশংসা করা প্রতিপক্ষের অধিনায়কের কর্তব্য হয়েই দাঁড়িয়েছিল।

আরও পড়ুন : আত্মঘাতী ও মেসি-ত্রিনকাওয়ের গোলে জিতলো বার্সা

রোববার অবিশ্বাস্য হারের পর মুমিনুল বললেন, ‘ওদের দুই ব্যাটসম্যান খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে অবিশ্বাস্য ব্যাট করেছে মায়ার্স। এখানে এভাবে ব্যাটিং করা সহজ নয়। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ৪০০ তাড়া করা, নিজে ২০০ করা। এ সত্যি অসাধারণ।’

এ সময় হারের কারণ জানতে চাওয়া হয় বাংলাদেশের সাদা জার্সির দলপতির কাছে।

একটু বুদ্ধিদীপ্ত জবাব দিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। বললেন, ‘যখন দল হারবে তখন নির্দিষ্ট করে দোষ দিতে পারবেন না। দল হারা মানে সবাই হারা, দল জেতা মানে সবাই জেতা। আমার কাছে মনে হয় না পরাজয়ের নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে। দল যখন হেরেছে, সবাই একসঙ্গে হেরেছি।’

তবে কিছুটা হলেও দায় নিলেন মুমিনুল। মায়ার্স ও বোনারের জীবন পাওয়ার প্রসঙ্গ টানলেন। বললেন, ‘উইকেটে যথেষ্ট সুযোগ ছিল। আমরা আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। বোলাররাও ভালো জায়গায় বল করেছে। সুযোগগুলো যদি কাজে লাগাতে পারতাম। খেলাটা অন্যরকম হতে পারত। এই দুই ব্যাটসম্যানের (মায়ার্স-বোনার) দুইটা সুযোগ ছিল। কাজে লাগালে মোমেন্টাম বদলে যেত। এই উইকেটে সেট হয়ে গেলে আউট করা কঠিন।’

সবমিলিয়ে হতাশা আর দীর্ঘশ্বাসই বেরুল মুমিনুলের মুখে। ম্যাচটি হেরে যাবেন তা নাকি কল্পনাই করেননি তিনি।

হতাশার সুরে বললেন, ‘কোনো সময়ই আমার কাছে মনে হয়নি যে এ ম্যাচ হেরে যাব। গত চার দিন আমরা দাপট দেখিয়েছি। আজ শেষের দিকে ম্যাচটা হেরে গেছি। আমি চিন্তাও করিনি শেষদিকে ম্যাচটা হেরে যাব। এ পরাজয় অপ্রত্যাশিত, অবিশ্বাস্য।’

সূত্র : যুগান্তর
এন এ/ ০৭ ফেব্রুয়ারি

Back to top button