জাতীয়

পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক

সেলিম মালিক

ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি – পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনতে এবার জোরেশোরে নেমেছে সরকারি সংস্থাগুলো। বিভিন্ন দেশ থেকে পাচারের অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুদক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পাচার রোধ করতে হলে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির স্থাপন করতে হবে।

বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজরা যে অর্থ পাচারে সিদ্ধহস্ত তার প্রমাণ মিলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য এবং পানামা ও প্যারাডাইস পেপারে ফাঁস হওয়া নথি থেকে। অনুসন্ধানী সংস্থা জিএফআইর তথ্য কেবল ২০১৯ সালেই দেশ থেকে পাচার হয়েছে অন্তত এক লাখ কোটি টাকা।

দেরিতে হলেও পাচারের অর্থ ফেরত আনতে বেশ নড়ে-চড়ে বসেছে সরকারী সংস্থাগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান জানান পাচারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে মামলা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর আবু হেনা রাজি হাসান বলেন, সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যে সকল তথ্য পেয়েছি সেগুলোর ওপর নির্ভর করে কাজ করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হচ্ছে। পিকে হালদারের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল।

আরও পড়ুন : পণ্য আমদানি-রফতানির নামে বিদেশে পাচার সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা, অনুসন্ধানে দুদক

বাংলাদেশ পুলিশ এর এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, এই নোটিশটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য জারি থাকবে। নোটিশটি জারি করে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের যে শাখা রয়েছে, সেগুলোতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুস্তফা কামাল বলেন, কয়েক বছরে সাতশো কোটি টাকার ওপরে মানিলন্ডারিং মামলা হয়েছে। তারা এসব সম্পত্তি ভোগ করতে পারবে না।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম বলেন, আইনি সকল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে পাচারের টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়েছে। দুটি মামলায় ২০ কোটি টাকা ফেরত আসছে। বাকিগুলো আনার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পাচার রোধ ও টাকা ফেরত আনার বিকল্প নেই।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ে পর্যায়ে পৌঁছাতে গেলে যে ভিশনগুলো দেওয়া হচ্ছে, এটি অর্জনের পথে অর্থপাচার বড় বাধা হবে। যেটি আছে সেটি যদি আমরা ধরে রাখতে না পারি, তাহলে আগামীতে যেটি আসবে সেটি যে ধরে রাখতে পারবো, তার নিশ্চয়তা কোথায়?

সূত্র : আরটিভি
এন এ/ ৩০ জানুয়ারি

Back to top button