জাতীয়

তথ্যমন্ত্রী উঁচু করলেন ‘শিক্ষাগুরুর শির’

ফখরুল শাহীন

চট্টগ্রাম, ১১ অক্টোবর- শিক্ষিত জনে কবি কাজী কাদের নেওয়াজের ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ কবিতাটি পড়েননি এমন মানুষ পাওয়া ভার। কবির শিক্ষা, শিক্ষকের অমর্যাদা ব্যক্তির ‘স্পর্ধা’। কাল ও জীবনের বিবর্তনে ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা যতই উঁচুতে উঠুক, শিক্ষক থাকেন ‘চির-উন্নত’। কবির সে চরণ এমন—‘আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির’।

কবি কাজী কাদের নেওয়াজের সেই ‘শিক্ষকের মর্যাদা’র শিক্ষা যেন ফের প্রত্যক্ষ করলেন জনসাধারণ। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক সুমঙ্গল মুৎসুদ্দি বড়ুয়া আর শিক্ষার্থী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। কলেজজীবনের প্রিয় শিক্ষক সুমঙ্গল মুৎসুদ্দি বড়ুয়াকে সামনে পেয়ে শিক্ষাগুরুর পা ছুঁয়ে অবনত মস্তকে সম্মান জানালেন তথ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীর এই সম্মান-জ্ঞাপন দেখলেন আশপাশের মানুষজন। তাঁরাও পেলেন শিক্ষাগুরুকে মর্যাদা দেওয়ার শিক্ষা।

গতকাল দুদিনের সরকারি সফরে তথ্যমন্ত্রী যান নিজ জম্মভূমি ও নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামে। শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজন ছিল হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক দুস্থ ও মন্দিরের অনুদানের চেক বিতরণের। প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সেখানেই ওই ঘটনার অবতারণা।

অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতেই মন্ত্রীর সামনে পড়েন কলেজজীবনের শিক্ষক সুমঙ্গল মুৎসুদ্দি বড়ুয়া। শিক্ষককে কাছে পেয়ে চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক ওঠে তাঁর। অবনত মস্তকে শিক্ষাগুরুর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। প্রিয় ছাত্রের এ ভালোবাসা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিক্ষক সুমঙ্গল মুৎসুদ্দি বড়ুয়া।

জানা গেছে, সুমঙ্গল মুৎসুদ্দি বড়ুয়া সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের শিক্ষক ছিলেন। অবশ্য সে সময় এ কলেজের নাম ছিল সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ।

শিক্ষকের স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্যার আমার সরাসরি শিক্ষক, তিনি ফিজিক্সের (পদার্থবিজ্ঞান) শিক্ষক ছিলেন। কলেজজীবনে স্যারকে খুব ভয় পেতাম। স্যার খুব রাগী মানুষ ছিলেন। কিন্তু স্যারের ক্লাসে খুবই মনোযোগী ছিলাম। আমাদের সময় স্যার খুব পপুলার শিক্ষক ছিলেন।’

রাষ্ট্রীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে দিনরাত ব্যস্ত থাকলেও ড. হাছান মাহমুদ ভুলতে পারেননি প্রিয় কলেজ ও তাঁর শিক্ষকদের।

ড. হাছান মাহমুদ ১৯৭৮ সালে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে যখন সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও সরকারি ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ একত্র হয়ে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন ১৯৭৯ সালে এ কলেজে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আর সময়ের পরিক্রমায় ড. হাছান মাহমুদ আজ তথ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

সূত্র: এনটিভি
আডি/ ১১ অক্টোবর

Back to top button