সুনামগঞ্জ

মনের দুঃখে শিশুটিকে মারছি : নেশাগ্রস্ত যুবক

সুনামগঞ্জ, ১১ ডিসেম্বর – শিশু এনামুল হক মুসা ওরুফে তালহার হত্যাকারী নেশাগ্রস্ত যুবক আব্দুল হালিমকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে জনগণ। তবে এ ঘটনা সম্পর্কিত ৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বিন্দু তালুকদার নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে খুনি আব্দুল হালিমকে হাসতে দেখা যায়। এমনকি তাকে বলতে শোনা যায়, ‌‘মনের দুঃখে আমি শিশুটিকে মারছি।’

সুনামগঞ্জ পৌর এলাকায় এনামুল হক মুসা (তালহা) নামের চার বছরের এক শিশুকে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। তালহা শহরের গুজাউড়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।

শুক্রবার দুপুরে গুজাউড়া হাছননগরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় লোকজন আব্দুল হালিম নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।

আরও পড়ুন : চার বছরের শিশুকে পাথর দিয়ে মাথা থেতলে দিল নেশাগ্রস্ত যুবক

হালিমের বাড়ি সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামে। পুরো ঘটনাটি পাশের একটি সিসিটিভির ক্যামেরা ধরা পড়েছে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, তালহা শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এ সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়া আব্দুল হালিম নামের নেশাগ্রস্ত ওই যুবক প্রথমে তাকে লাথি দিয়ে মাটিয়ে ফেলে দেয়। এরপর একটি ভারি পাথর দিয়ে মাথায় উপর্যুপরি পাঁচবার আঘাত করে। এতে তাহলার মাথা তেতলে যায় ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে পাশের বাড়ির লোকজন গুরুতর অবস্থায় তালহাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনিত হলে সেখান থেকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. শহীদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। একটি শিশুকে এভাবে কেউ খুন করতে পারে? স্থানীয় লোকজন এক যুবককে আটক করে পুলিশের দিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে পাশের একটি সিসিটিভির ক্যামেরায় ঘটনা ধরা পড়েছে।’

সুত্র : জাগো নিউজ
এন এ/ ১১ ডিসেম্বর

Back to top button