জাতীয়

ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়

ঢাকা, ৫ এপ্রিল – বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আমরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেছি। সব দোকান পুড়ে গেছে। এটা একটা এক্সিডেন্ট। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের এই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করব ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার জন্য।

বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় বঙ্গবাজারে পুড়ে যাওয়া মার্কেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আগুনে ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে মজা করা হয়েছে। কারণ এই ১৫ হাজার টাকা কাকে দেবে? একটা দোকানের কর্মচারী আছে, মালিক আছে ও মালিকের পরিবার আছে। ১৫ হাজার টাকা অপ্রতুল। এটাকে আরও বেশি করা উচিত। এখানে যতগুলো মালিক ও কর্মচারী তাদের প্রত্যেককে সহযোগিতা দেওয়া উচিত।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সাড়ে ৬ ঘণ্টার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেট। আগুনে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ পাইকারি মার্কেটের ৫ হাজার দোকান। ঈদের আগে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন হাজারো ব্যবসায়ী। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ আগুনে ছাই হয়েছে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার সামগ্রী। রক্ষা পায়নি পুলিশ সদর দফতরও। গতকাল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তলব করা হয়েছিল সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপক ইউনিটকে।
লাইফ সেভিং ফোর্সের (ফায়ার সার্ভিস) সদস্যদের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয় সেনা, নৌ, বিমান, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। সবার একাগ্র চেষ্টায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। তবে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এনেক্সকো ভবনের পাঁচ ও ছয় তলা থেকে থেমে থেমে ধোঁয়া এবং আগুনের ফুলকি বের হচ্ছিল। সান্ত্বনা শুধু এটুকুই যে, আগুনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে একবার ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় বঙ্গবাজার। পরে নতুন করে গড়ে তোলা হয় ওই মার্কেট। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই সেখানে আবার আগুন লাগে। পুড়ে যায় মার্কেটের গুলিস্তান ইউনিটের কয়েকটি দোকান। এবারের ভয়াবহ অগ্নিকা- নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তাদের অনেকেই মনে করেন, এটা নাশকতা।

সূত্র: বিডি-প্রতিদিন
আইএ/ ৫ এপ্রিল ২০২৩

Back to top button