ভালবাসায় কে কেমন?

মেষ

মেষ (২১ মার্চ – ২০ এপ্রিল)

ভালবাসার মানুষকে স্বপ্নের ভুবনে ভাসিয়ে দেয়ার মতো ক্ষমতা মেষ রাশির জাতক-জাতিকার রয়েছে। এর পেছনে বড় কারণ হলো, তার চুম্বকীয় ব্যক্তিত্ব আর অপরকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা। এ গুনাবলী প্রবল হওয়ার কারণে পর্যায়ে থেকেই অপরের সঙ্গে প্রতি আকর্ষণ মানসিক ও শারীরিক উভয়ভাবেই প্রখর হয়ে থাকে। মেষ রাশির জাতকের কাছে ভালবাসায় মনের মিলের সঙ্গে অন্য সম্পর্কও একই রকম কৌতূহলোদ্দীপক। তবে মেষ জাতক-জাতিকারা একটু দাদ্ভিক আচরণ করে থাকে। যা বিপরীত লিঙ্গের কাছে অপছন্দের একটি বিষয় তৈরি করে। এই আচরণটি একটি দেয়ালের মতো কাজ করে। যা একবার ভেদ করে কেউ কাছে এল প্রকৃত মানুষটার সন্ধান পান। সঙ্গী হিসেবে মেষ জাতক-জাতিকা সততার আদর্শ। তাদের উদ্যমী ও সৃষ্টিশীল আচরণের কারণে রোমান্সে আবার বৈচিত্র্যও থাকে। মেষ জাতক-জাতিকারা স্বভাবজাত রোমান্টিক। তাদের কথাবার্তার মাধুর্য, চমৎকার আচরণ এবং উপমা ব্যবহার করে তৈরি করা আকষর্র্ণীয় বাক্য তাদের সঙ্গীদের জন্য ঈর্ষণীয় সম্পদ।

বৃষ

বৃষ (২১ এপ্রিল – ২১ মে)

ভালবাসা ও রোমাঞ্চের ক্ষেত্রে বৃষ খুবই সহানুভূতিশীল এবং সংবেদনশীল। আন্তরিকতা ও সহৃদয়তার পাশাপাশি তীক্ষè রসবোধ রয়েছে বৃষের। বৃষ সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় এরা ভালবাসতে ভালবাসা। বৃষের স্বভাবের একটি দিক হলো, এরা ঝামেলাহীন জীবন ভালবাসে। যে কারণে মূলত আর্থিক নিরাপত্তা, নিরুপদ্রব জীবনকে বেশি গুরুত্ব দেয়, তা সত্ত্বেও এরা প্রেমের ব্যাপারে বেশ দুঃসাহসী। এদের দায়বদ্ধতা ও আত্মনিবেদন প্রশ্নাতীত। যে কোনো ব্যাপারে নিশ্চয়তা বিশ্বাস করে। আর তাই প্রেম ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা এর খুব ঘৃণা করে থাকে। জীবনে যেসব সম্পর্কে এরা তৈরি করে তা প্রায় সবই দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। বৃষ জাতকের সবচেয়ে অপছন্দের ব্যাপার হলো তালাক বিষয়টা। কাজেই এরা যে কোনো মূল্যে সম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে সচেষ্টা থাকে। সঙ্গীর পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারে বৃষ সদা সতর্ক। সেই হিসেবে বৃষকে সঙ্গী হিসেবে পাওয়া মানে উপযুক্ত সঙ্গী পাওয়া।

মিথুন

মিথুন (২২ মে – ২১ জুন)

মিথুনের হৃদয় যাকে বলে খোলা আকাশের মতো। যার দরজা সব সময় খোলা থাকে। যে কেউ যে কোনো সময় প্রবেশ ও বের হতে পারে তার খোলা দরজা দিয়ে। তবে মিথুর জাতক-জাতিকাদের কাছে প্রেম, ভালবাসা বিয়ে মজার খেলার মতো। এটি তাদের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নয়, কোনো দায়িত্ব নয়। প্রেম, ভালবাসা বা বিয়েকে তারা কখনই সিরিয়াসলি নেন না। মিথুন জাতক এবং জাতিকা উভয়ের একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট হলো, তারা একই সঙ্গে একাধিক প্রেম-বিয়ের জন্য খ্যাতিসম্পন্ন। তারা প্রতারিক হলে ও খুব একটা গায়ে মাখেন না। কিন্তু বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিটি তার এই ধরনের আচরণ বুঝতে পারেন না বিধায় অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারেন। এ কারণে মিথুনকে ভালবাসার মানুষটি বেশি জেলাস হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে ফেলেন। মূলত এ জন্য তিনি দায়ী নন। তার এ মানসিকতা তৈরি হওয়ার জন্য মিথুনই দায়ী। মিথুন জাতক-জাতিকারা রসিকতা খুব পছন্দ করেন। হৃদয় ভাঙ্গায় তার জুড়ি মেলা তার। কিন্তু কিছু কিছু মিথুন ইচ্ছা করলে তার স্বভাবের দোষ পরিবর্তন করে বদলে যেতে পারেন। পরিবর্তন আনতে পারেন ব্যক্তিগত চিন্তাধারায়। তাতে তার জীবনই মঙ্গলময় হয়। সত্যিকারের ভালবাসার মানুষকে নিয়ে ঘর-সংসার করতে পারেন।




কর্কট

কর্কট (২২ জুন – ২২ জুলাই)

কথায় বলে, কপাল খারাপ। প্রেম-ভালবাসার ক্ষেত্রে এ কথাটি কর্কটের ক্ষেত্রে প্রায় সত্য। কর্কটের জীবনে সুখী সম্পর্কে তৈরি হওয়ার ঘটনা বিরল। আবার তৈরি হলেও তা ধরে রাখতে পারেন না কর্কটরা। কর্কটদের একটি বড় সমস্যা হলো তারা মেধার চেয়ে মনকে বেশি গুরুত্ব দেন। বৃদ্ধি দিয়ে নয়, মেজাজ-মর্জি দিয়ে অনেক সময় নিয়ন্ত্রিত হন। তবে কর্কট কারো পক্ষে একবার দাড়াঁলে জীবন দিতে হলেও সেখান থেকে সরে যান না। অর্থাৎ কাউকে ভালবাসলে বা মন দিয়ে ফেললে তার জন্য সব করতে প্রস্তুত তিনি। কর্কট রাশির পুরুষের ক্ষেত্রে বলা যায় যে, আচরণের ব্যাপারে তারা অনেক স্থল। যদিও তারা অনেক বেশি নিরাপত্তা দিতে পারে এবং অত্যন্ত আবেগপূর্ণ। কর্কট নির্ভরযোগ্য ভরণপোষণকারী। সঙ্গীর আবেগ ও মেজাজ-মর্জি বোঝার একটি সহজাত ক্ষমতা তার রয়েছে। কর্কট স্বভাবগতভাবে একটু সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন, তাই তার জন্য পরামর্শ হলো, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে আরো বলিষ্ঠ হতে হবে। কর্কট একটু সমালোচনাপ্রেমী হয়ে থাকে। কর্কটকে মনে রাখতে হবে মানুষের চরিত্রের খুব বাজে একটা দিক এই সমালোচনা করা। এ অভ্যাস থেকে আপনাকে বের হয়ে আসতে হবে। না হলে বিপরীত লিঙ্গের মানুষটির কাছে প্রিয় হয়েও আপনি দূরে সরে যাবেন। খুঁতখুঁতে স্বভাব ও অতিরিক্ত সমালোচনার অভ্যাসেও আপনাকে রাস টানতে হবে। বিবাহিত জীবনে অভিভাবকদের আপনি বেশি গুরুত্ব দেবেন না। এবং এমন কোনো তুলনার ভেতর যাবেন না যাতে আপনার বৈবাহিক জীবন ধবংশস্তূপে পরিণত হয়। অতিমাত্রায় উচ্চবিলাষী হবেন না। নিজের ঘর আপনার কাছে অনেক মূল্যবান। যৌথ পরিবার আপনার পছন্দ নয়। তাই বিয়ের পর খুব দ্রুত আলাদা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা আপনার রয়েছে। এ প্রবণতাটা অনেক সময় সঠিক নয়। সময় বুঝে সিদ্ধান্ত নিলেই আপনার জন্য ভালো হয়।

সিংহ

সিংহ (২৩ জুলাই – ২৩ আগস্ট)

ব্যক্তিত্বের একটা অন্যরকম সংস্পর্শে অনুভূত হয় সিংহ রাশির জাতক/জাতিকাদের কাছে এলে। ব্যক্তিত্বের কারণে এদের আচরণ, চলাফেরা, কথাবার্তা ইত্যাদি অন্য লিঙ্গের কাছে খুব আকর্ষণীয় হয়। এ কারণে প্রেম ও রোমান্সের কপাল তাদের ভালো। তাদের সাধারণত কারো পেছনে ঘোরা লাগে না, বিরপীত লিঙ্গের মানুষরাই তার কাছে আসে ঘুরে ঘুরে। তবে তাদের সবাই আবার পাত্তা পায় না সিংহের কাছে। বিপরীত লিঙ্গের মানুষের কাছে সিংহের রোমান্সও নাটকে ভরপুর। সেভানে সিংহরা যথাযথ ভূমিকাই পালন করে থাকেন। প্রায় সব সিংহের পর্যাপ্ত গ্ল্যামার আছে। আবেগময়, শারীরিক সেক্সচুয়াল-সব জায়গায়ই তারা আদর্শ। বিপরীত লিঙ্গ তার ব্যাকুল আবেদনময়িতার কাছে ধরাশায়ী হয়। সিংহ পুরুষ তার পৌরুষ দ্বারা সহজেই নারীকে আকৃষ্ট করতে পারে। তবে সঙ্গী হিসেবে সিংহ নির্ভরশীল, চমৎকার। বৈবাহিক সঙ্গীর প্রতি সিংহরা অনুগত থাকলেও আধিপত্য বিস্তারের প্রবণতা রয়েছে প্রকটভাবে। সিংহরা বিশ্বস্ততায় বিশ্বাসী। যদি কারো কাছ থেকে এই জিনিসটি পেয়ে থাকেন তবে তার জন্য জীবন বাজি রাখতে পিছপা হন না সিংহরা। সিংহরা সেক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তাদের প্রত্যাশা অনেকাংশে বেড়ে যায়। সে জায়গাটিতে তারা অনেক ক্ষেত্রেই কষ্ট পেয়ে থাকেন। কারণ বিপরীত লিঙ্গের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত প্রত্যাশা করলে বিপরীত লিঙ্গ বিরক্তিতে আক্রান্ত হয় অধিকাংশ সময়। ফলে সমস্যা চলে আসে দাম্পত্যে বা প্রেমের সম্পর্কে। অথচ বিবাহবিচ্ছেদকে ঘৃণা করেন সিংহ। তাই জীবনে কষ্ট না পেতে একটু সাবধানতার সঙ্গে আচরণ করুন। সুখে থাকবেন।

কন্যা

কন্যা (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)

বেশ আত্মকেন্দ্রিক, ভীরু ও দুর্বল মানসিকতার অধিকারী হয়ে থাকে কন্যা জাতক-জাতিকারা। তাই তাদের সঙ্গে প্রেম করতে যাওয়া বেশ ভোগান্তির ব্যাপার বলা যেতে পারে। তবে তাদের সঙ্গে প্রেম করতে পারলে অন্যরকম প্রেমের মজা পাওয়া যায়। তাদের বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না ভাব থাকলেও লুকিয়ে প্রেমের নিশ্চয়তা দিতে পারলে তাদের পাওয়া যায়। কারণ সামাজিক নিরাপত্তা এদের প্রধান বিবেচ্য বিষয়। আর প্রাথমিক লজ্জা ভাঙ্গতে পারলে তারা পরের ধাপগুলোতে বোমার মতো আত্মপ্রকাশ করে থাকে। বিপরীত লিঙ্গের জন্য তারা বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয় প্রেম শুরু করার পর। অর্থাৎ আপাতদৃষ্টিতে এদের একেবারে সেকেলে আর সাধারণ মনে হলেও গোপন প্রেমে এরা প্রেমিক ও প্রেমিকার কাছে প্রকাশিত হয় অতিআধুনিক হিসেবে। প্রেমে মনের চেয়ে দেহের দিকে অর্থাৎ শারীরিক মিলনে এদের আগ্রহ খুব বেশি থাকে। যে কারণে এরা বিশ্বস্ততার দিক দিয়ে ততটা নির্ভরশীল নয়। কন্যারা তেমন সুযোগ পেলে প্রেমিক/প্রেমিকা বা স্বামী/স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে একাধিক প্রেমে জড়িয়ে পড়তে পারে। তবে কন্যার এই বিষয়টি বিপরীত লিঙ্গ খুব একটা বুঝতে সক্ষম হন না। কারণ সেটা লুকানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকে কন্যার মধ্যে। প্রেম, ভালবাসার এমনকি বিয়ের ক্ষেত্রেও একটি সুন্দর আবাস আর আর্থিক নিরাপত্তা কন্যার কাছে অনেক বেশি মূল্য রাখে। দ্বিতীয় বা তৃতীয় কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আকর্ষণ বেশি অনুভব করে থাকে কন্যারা। কিন্তু স্বভাবজাত ঢংয়ের কারণে প্রকৃত প্রেমিক কিংবা স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিমুখতা প্রকাশ করে থাকে কন্যারা। এ ব্যাপারটি কন্যাদের বৈবাহিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে।




তুলা

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)

ভালো মানের প্রেমিক/প্রেমিকা তুলা রাশির জাতকরা। জন্মগতভাবেই তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা প্রেম-ভালবাসার দিক দিয়ে পরিপক্ব হয়ে থাকেন। আচার-আচরণের তুলাদের বৈশিষ্ট্য ব্যতিক্রমী। যে কারনে তারা সহজেই বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে আকর্ষণ করে থাকে। তুলার সংস্পর্শে বিপরীত লিঙ্গ অনেক বেশি রোমাঞ্চ অনুভব করে থাকেন। তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই তাদের প্রতি বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলা। তারা কারো জন্য দিওয়ানা না হলেও তাদের জন্য দিওয়ানা হতে দেখা যায়। বিপরীত লিঙ্গকে। তবে তুলাদের চারিত্রিক দৃঢ়তা কম হয়ে থাকে। অতিরিক্ত চাপ বা দায়িত্ব এরা কাঁধে নিতে পারেন না। অর্থাৎ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এরা খুব একটা নির্ভরশীল নন। তবে তার এই একটু গা-ছাড়া ভাব অন্যকে পাগল করে তোলে তার প্রতি চিন্তা করার জন্য। অন্যকে উতলা করে তুলতে তুলার জুড়ি মেলা ভার। নিজেরা অন্যের দায়িত্ব নিতে না পারলেও অন্যের কাছ থেকে তার প্রতি দায়িত্ব পালনের ব্যাপারটা তুলা খুব উপভোগ করে থাকে। এমনটি প্রত্যাশা করলে ও তারা কখনই মুখ ফুটে এই ব্যাপারটি প্রকাশ করেন না। এ কারণেই কখই ভালবাসার মানুষের জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে থাকতে দেয়া যায় না তাদের। অথচ ভালবাসায় মানুষটির মনে তার প্রতি তীব্র আকর্ষণ তৈরি করে তুলা। শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এদের দৃষ্টিভঙ্গি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ। অনেকসময় আপনার তীব্র শারীরিক আকর্ষণ আপনার ব্যক্তিত্বকে আপনার জীবনসঙ্গীর কাছে সন্দেহজনক করে তুলবে।

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)

বারো রাশির জাতক-জাতিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ যার ভালবাসার হরমোন রয়েছে সে হলো বৃশ্চিক। বৃশ্চিক ভালবাসার বারুদ। যেমন মনে, তেমন শরীরে। বৃশ্চিকের সুন্দর শারীরিক গঠন ও আবেদন তাকে শারীরিকভাবে আকষণীয়, প্রচণ্ড কামুক ও আকর্ষণ করে তোলা। এক কথায় ভালবাসার ক্ষেত্রে বৃশ্চিক অতুলনীয়। কিন্তু বৃশ্চিককে সহজে বুঝতে পারা যায় না। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে ও বৃশ্চিক সবচেয়ে দুর্বোধ্য। বৃশ্চিক ভালবাসে মন-প্রাণ-দেহ সবকিছু নিয়ে। বিপরীত লিঙ্গকে পেতে চায় সেভাবেই। এজন্য বলা যেতে পারে বৃশ্চিক একজন আদর্শ প্রেমিক। কিন্তু সমস্যা হলো, বৃশ্চিকের বিপরীত লিঙ্গটি তার এ ব্যাপারগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বুঝতেই পারে না। অনেক ক্ষেত্রে ভুল ঝুঝে বসে। সে কারণে বৃশ্চিক অনেক সময় হতাশায় আক্রান্ত হয়। আর বৃশ্চিকের হতাশার বহিপ্রকাশ হলো, তীব্র আক্রামণত্মক ও নিমর্ম আচরণ। বৃশ্চিকের স্বভাব হলো, কিছুটা অহঙ্কারী। কিন্তু তিনি বিপরীত লিঙ্গের অহঙ্কার মেনে নিতে পারেন না। এ সমস্যাটির কারণে বৃশ্চিকের কাছে প্রশংসা পেতে আগ্রহী কেউ তার সঙ্গে প্রেম করলে হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে বৃশ্চিকের প্রেম নিখাদ। সেটা প্রশংসা করলেও, না করলেও। কিন্তু আরেকটি সমস্যা হলো, যদি তার সঙ্গে কেউ বেইমানি করে তবে বৃশ্চিকের ভয়ঙ্কর রূপটি তাকে দেখতে হতে পারে। স্বভাবজাত কারণে বৃশ্চিক কাউকে পছন্দ করলে তার জন্য জান দিতে পারে। কিন্তু কাউকে ঘৃণা করলে তার জান কেড়ে নিতেও পারে। স্বভাবজাত অহংকারবোধের কারণে বৃশ্চিক খুব একটা আদর্শ স্বামী/স্ত্রী নন। তবে খুব যত্নশীল। বাড়ির উষ্ণতা উপভোগ করেন এবং জন্য ত্যাগ করতে রাজি আছেন। আপনি একজন মহান আবেগপ্রবণ প্রেমিক। যা সঙ্গে আপনার সঙ্গী তাল দিয়ে সক্ষম হতে পারে। যৌন জীবনে প্রচুর দাবি করে তার সঙ্গে চান শারীরিক উত্তাপ। তবে ঈগলের প্রভাবে প্ল্যাটোনিক ভালবাসাতে জড়িয়ে যেতে পারেন। কারণ আপনার দুয়েকটি হৃদয়ঘটিত ব্যাপারে জড়িয়ে পড়তে পারেন যেগুলোকে আপনার সঙ্গী এড়িয়ে যেতে হবে যেহেতু ওগুলোর কোথায় স্থায়িত্ব নেই।

ধনু

ধনু (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)

ধনুর চারিত্রিক মিশ্রণটা বড় অদ্ভুত। এ কিছুটা দাম্ভিক স্বভাবের হয়ে থাকে বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে মেলামেশার ক্ষেত্রে ঠিক বিপরীত আচরণ প্রদর্শন করে থাকে ধনুর চরিত্রের এই দিকটি বিশ্লেষণ করা বলা যেতে পারে, যাকে ভালো লাগে তাকে পাত্তাই দেন না, আর যাকে ভালো লাগে তার সঙ্গে অনেকটা বেহায়ার মা মেশেন ধনু। আবার ঘন ঘন আবেগ পরিবর্তন হতে বেশি দেখা যায় ধনুর মধ্যে অর্থাৎ যার সঙ্গে এখন মিশছেন, একটু আরেকজন আরো আকর্ষণীয় কাউকে ধরে গেলে আগের জনকে অবহেলা নতুন জনের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাতে করেন ধনু। নতুন সুর্দশন মুখ বা সম্পর্কের হাতছানি পেলে আগ্রহী ওঠেন। সেই অর্থে সঙ্গী হিসেবে ভালো প্রেমিক/প্রেমিকা হিসেবেও ভালো বিশ্বাসী নন ধনু। এই অভ্যাস চিরন্তন। প্রেম জীবনে তাই সমস্যা হতে পারে। প্রেমিক হিসেবে ধনু উষ্ণ, মুগ্ধকারী এবং আবেদনময়ী। চরিত্রের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, খুব আমুদে। এতটাই আমুদে তালাকের মতো ঘটনা ও ধনুর জীবনে একটা প্রভাব বিস্তার করে না বা ফেলে না। তবে সচরাচর সংসার ভাঙ্গন চান না ধনু। সংসার ভাঙ্গলে কষ্ট ঠিকই, কিন্তু বুঝতে দেন না। যাকে ভাল লাগে তার প্রতি ভীষণ যত্ববান হন তাকে স্বাধীনতা না দিলেও নিজে তা করেন। ধনু রাশিরা খুব বদমেজাজি অনেক সময় মাথা গরম করেন। ধনুরা নিজের দোষ ঢাকতে অন্যের সম্পর্কে বাজে কথা বলছে পিছুপা হন না। বিশেষ করে পরিচিত সম্পর্কে থামোখাই বাজে কথা বলে বেড়ানো অনেক ক্ষেত্রে ধনুর ব্যক্তিত্ব খাটো করে। ব্যাপারটি বিয়ের বা প্রেমের আগে বোঝা যায় না। কিন্তু পরবর্তী সময় ধনুর সঙ্গীর কোনো উপায় থাকে না।




মকর

মকর (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)

প্রেমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেরসিক জাতক-জাতিকা হলো মকর। প্রেম-ভালবাসা বিষয়টা মকরকে খুব একটা নাড়া দেয় না। এটা মকর জাতক-জাতিকার একটি বড় বৈশিষ্ট্য। আবার তাদের স্বভাবচরিত্রও অমন হয় না যে, তারা অন্যদের খুব বেশি আকর্ষণ করতে পারেন। প্রেমের ব্যাপারে অতটা আগ্রহী না হলেও টাকা-পয়সা, আরাম-আয়েশ, থাকা-খাওয়া, সংসার ইত্যাদি ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে মকরের। স্বভাবগতভাবেই মকর সুবিধাবাদী, সীমাবদ্ধ মানসিকতার অধিকারী। জীনবকে কিছুটা সঙ্কীর্ণতার মধ্যে ঢুকিয়ে রাখেন মকর। যে কারণে তার সঙ্গে প্রেম করতে গিয়ে মজা না পাওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি থাকে বিপরীত লিঙ্গের। কিন্তু সমমনা কেউ যদি ভাগ্যে জোটে তবে দুজন মিলে জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারবেন। মকরের জন্য পরামর্শ হলো, ক্রটিগুলো একটু অনুসন্ধান করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে সবাইকে না পারলে ও অন্তত একজন মানুষকে তো সুখী করে তুলতে পারবেন। তাই অন্তত এই একজনের প্রতি আরো মনোযাগী হোন, তাদের ভালবাসুন এবং আশ্বস্ত করুন। আপনার নিজেকে পরিবর্তন, অপরের মঙ্গল সাধনের মতো দু-একটি কাজ ও মানসিকতা আপনাকে আকর্ষণীয় হিসেবে উপস্থাপন করবে বিপরীত লিঙ্গসহ অন্য সবার কাছে তাতে আপনার জীবনটা আরো আনন্দময় ও সার্থক হবে।

কুম্ভ

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)

ভালবাসার ক্ষেত্রে প্রায় ধনুর মতো আরেকটি গোত্র কুম্ভ। তবে এদের ঠিক বেরসিক বলা যায় না, বলতে হয় এরা নির্লিপ্ত। একটু বেশি খুঁতখুঁতে হয়ে থাকে কুম্ভরা। বড় বেশি যাচাই-বাছাই করার মানসিকতার কুম্ভের। এ ব্যাপারগুলো সর্ম্পকে গড়ার পথে এবং দীর্ঘ স্থায়িত্বের পথে বড় বাধা। কুম্ভের ধারণা থাকে, তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অন্যের ভালবাসা পাওয়ার অধিকার রাখে। অন্যকে সুখী করার পথে এটা একটা বড় বাধা। কুম্ভরা স্বভাবগতভাবে অহঙ্কারী ও হয়ে থাকে। নাক উঁচু একটা ভাব থাকে তাদের মাঝে। যার ফলে বিপরীত লিঙ্গ তাদের সংস্পর্কে এসে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। কুম্ভের এর স্বভাবটি একান্তভাবেই পরিবর্তন করা দরকার। না হলে নিঃসঙ্গ হয়ে বাস করতে হতে পারে। অবশ্য কুম্ভদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন অবস্থা মেনে নিতে হয়। তারা সেটা মেনেও নেন। তবে মনের মধ্যে একটা কষ্ট কাজ করেই। একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব চলতে থাকে নিজের ভেতরেই। তাতে নিজেও কষ্ট পান, অপরকেও কষ্ট দেন। যে কারণে বৈবাহিক জীবনে খুব একটা সুখী হন না কুম্ভরা। যে কোনো বন্ধনই কুম্ভের জন্য সুখকর হয় না। বন্ধন জিনিসটার প্রতি খুব একটা শ্রদ্ধা নেই কুম্ভের। বৈবাহিক ধারণাকে কুম্ভ সর্মথন করেন না। কুম্ভ অন্যকে জানার বা অন্য বিষয় নিয়ে খুব বেশি জানার আগ্রহ কম বোধ করেন। তাই তার চারপাশে নিজস্ব একটা গণ্ডি তৈরি করে দেন। সেখানেই আবদ্ধ করে রাখেন নিজেকে। আর সেই গণ্ডির আওতায় নিজস্ব পদ্ধতিতে, নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে পছন্দ করেন। বিপরীত লিঙ্গ তো বটেই এমনকি সমলিঙ্গের কোনো সঙ্গী কুম্ভের ব্যাপারে কোনো অধিকার প্রয়োগ করতে গেলে কুম্ভ অনধিকার চর্চা মনে করেন। যে কারণে এমন কোনো ঘটনা কারো মাধ্যমে ঘটলে তার কষ্ট পাওয়ার সম্ভবনাই বেশি থাকে।

মীন

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)

রাশিগত কারণেই মীন বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করে থাকে। কারণ তার প্রতীক এক নয়, দুই। একা থাকা মীনের ধর্ম নয়। যে কারণে কখনো কোনো সম্পর্কে ভেঙে গেলে ও আবার তা জোড়া লাগে। অথবা মীনের কপালে জুটে যায় নতুন কেউ। এভাবে চলতে থাকে মীনের প্রেম-ভালবাসা বা দাম্পত্য জীবন। কিন্তু একটা কথা বলতেই হয় যে, প্রেম-ভালবাসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অদ্ভুত চরিত্রটির নাম মীন। এক্ষেত্রে কারণ হলো, মীন রাশির প্রতীক। দ্বৈত। আর এই দ্বৈততার কারণে মীন একদিকে যেমন মোহময় বৈচিত্র্য খোঁজেন, অন্যদিকে তেমনি তার পছন্দ নিঃসঙ্গতারও। তাই কোনো সম্পর্কে ভেঙ্গে গেলে মীন তেমন একটা ব্যথিত হন না। বরং তার জীবনের এটা এক সময় অভ্যস্ততায় পরিণত হয় যে, এক হৃদয় ভাঙে বহুবার, আবার তা জোড়াও লাগে বহুবার। দ্বৈততার কারণেই মীনের মনে ভালবাসার একটা স্বতঃস্ফুর্ত অনুভূতি তৈরি হয়। মীন অন্যকে ভালবাসাও অন্যের ভালবাসা পাওয়ার তীব্র ইচ্ছা পোষণ করে। জীবনে কিছু সময় একা থাকা খুব কম হয় মীনের জীবনে, কিন্তু কখনো যদি একা থাকতেই হয় তাতে তেমন একটা প্রভাব ফেলে না তার জীবনে। কারণ কখনো কখনো মীন তার ভালবাসা গোপনেই লালন করেন। দ্বৈততার কারণেই অসংখ্য নারী ও পুরুষ মীনের জীবনে আসে। যে কারণে জীবনে অনেক ভুল মানুষের আগমন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ভুল মানুষ এসে থাকে। কিন্তু তারা টেকে না। মীনের চরিত্রের দ্বৈততার কারণেই তার সঙ্গে খুব সহজে খাপ খাইয়ে নেয়াটাও কঠিন একটা ব্যাপার। একই সঙ্গে আবেগময় ও ভদ্রোচিতভাবে মীনের সঙ্গে থাকা কঠিন একটি ব্যাপার। তবুও মীনের ভাগ্যে জুটে যায় তার ভালবাসার মানুষটি।

Back to top button