পশ্চিমবঙ্গ

রোজ রোজ হাসপাতালে মুকুল, কী জন্য পরের পর পরীক্ষা

কলকাতা, ০৩ সেপ্টেম্বর- মুকুল রায় ঠিক কী অসুখে ভুগছেন? পরপর দু’দিন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাওয়ায় নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার দিনের অনেকটা সময় হাসপাতালে কাটানোর পরে বাড়ি ফিরেছিলেন মুকুল। কিন্তু শুক্রবার ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ। তবে মুকুল ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, অসুস্থতা খুব একটা উদ্বেগজনক কিছু নয়। কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা দরকার বলে বৃহস্পতিবারই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। সেই কারণে শুক্রবারও তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে। উডবার্ন ওয়ার্ডে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

মুকুল যে অসুস্থ তা বেশ কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি স্নায়ুজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন বলে দাবি করেছিলেন ঘনিষ্ঠরা। স্ত্রী-বিয়োগের পরে সেই অসুস্থতা আরও বাড়ে বলেই তাঁদের দাবি। মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও জানিয়েছিলেন, বাবা অসুস্থ। যদিও বিজেপি শিবির মুকুলের এই অসুস্থতাকে ‘সাজানো’ বলে দাবি করছে। তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার মামলা থেকে বাঁচাতে তৃণমূল এটা করেছে দাবি করে গত বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুকুল রায়কে অসুস্থ সাজিয়ে রাখা হয়েছে।’’

শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পরের দিনই মুকুলকে হাসপাতালে দেখা যায়। এসএসকেএম সূত্রে জানা যায়, স্নায়ুজনিত অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে আসেন তিনি। উডবার্ন ওয়ার্ডে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। এর পর ১০৩ নম্বর ঘরে মুকুলকে পরীক্ষা করে দেখেন স্নায়ু বিশেষজ্ঞরা। মুকুলের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক স্নায়ু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। সেই সময় তাঁর মস্তিষ্কের এমআরআই করা হয়। যদিও সেই পরীক্ষার রিপোর্টে উদ্বেগজনক কিছু ছিল না বলেই দাবি।

নীলবাড়ির লড়াইয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র টিকিটে নির্বাচন জেতার পর পরই তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। এর পর অগস্টের প্রথম সপ্তাহে কৃষ্ণনগরেই এক সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল মন্তব্য করেন, কৃষ্ণনগরে উপনির্বাচন হলে তৃণমূল পর্যূদস্ত হবে। বিজেপি স্বমহিমায় ফিরে আসবে। পরে যদিও তিনি বলেন, ‘‘এটা বলা ঠিক হয়নি।’’ পরে যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের অনেকে ব্যক্তিগত পরিসরে জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার কারণেই মুকুল এমন ‘অসংলগ্ন’ মন্তব্য করেছেন। শুভ্রাংশুও সেই সময় জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা অসুস্থ। এর পর থেকেই মুকুলের টানা চিকিৎসা চলছে। তবে এত দিন তা হচ্ছিল বেসরকারি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার থেকে তা সরকারি হাসপাতালে শুরু হয়েছে।

সূত্রঃ আনন্দ বাজার পত্রিকা

আর আই

Back to top button