রূপের রাণী বাংলাদেশের অসাধারণ ৫ টি ঝর্ণা
দেশের বাইরের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে হা-হুতাশ করে সময় পার করে দিই আমরা। অসাধারণ সব পাহাড়, নদী ঝর্ণা দেখে মন সেখানটায় যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠে। কিন্তু যাওয়া তো সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু নিজের দেশে হাতের কাছেই রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য যা অনেকেই জানেন না এবং জানলেও যেতে পারেন না। ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া’, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন আমাদের অবস্থার কথা আগেই জেনে গিয়েছিলেন। আমরা ঘর হতে দুই পা সম্বল করে বের হলেও নিজের দেশের এই সকল অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি। দরকার শুধু আমাদের ইচ্ছার। আজকে চলুন আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিই আমাদের রূপের রাণী বাংলাদেশের অপরূপ সুন্দর ৫ টি ঝর্ণার সাথে।
আমিয়াখুম, বান্দরবন
বাংলাদেশের সব চাইতে সুন্দর এই ঝর্ণাটি বাংলাদেশ-মায়ানমারের বর্ডারের কাছাকাছি অবস্থিত। দুইটি উপায়ে এই অপরূপ সুন্দর জায়গায় যেতে পারবেন আপনি।
রুট-১: বান্দরবন- থানচি- বোর্ডিং পাড়া- সিমপ্লাম্পি পাড়া- থান্ডিয়া পাড়া- বোলং পাড়া- সাত ভাইখুম- নাকিওংমুখ- আমিয়াখুম ঝর্ণা।
রুট-২: থানচি- পদ্মমুখ- বোলং পাড়া- সাত ভাইখুম- নাকিওংমুখ- আমিয়াখুম ঝর্ণা।
নাফাখুম, থানচি, বান্দরবন
অপূর্ব সৌন্দর্যের এই নাফাখুম ঝর্ণাটি বাংলাদেশের সব চাইতে বড় ঝর্ণা। এটি সাঙ্গু নদীতে অবস্থিত। এই ঝর্ণাটি দেখতে চাইলে আপনাকে থানচি উপজেলা থেকে ৩ ঘণ্টার নৌকো ভ্রমণ করে পৌছুতে হবে তিনডুতে, সেখান থেকে আরও ৩ ঘণ্টার ভ্রমণ সাঙ্গু নদীতে আপনাকে পৌঁছে দেবে রেমাকরিতে। এরপর ৩ ঘণ্টার হাঁটা পথে পৌঁছে যাবেন নাফাখুমের অপরূপ সৌন্দর্যে।
আরও পড়ুন: রাতারগুল: যার জলের বুকে বনের ছায়া নিবিড় হয়ে আছে
খৈয়াছরা ঝর্ণা, মিরেরসরাই, চট্টগ্রাম
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে এবং নোয়াখালী পার হলেই মিরেরসরাই উপজেলা। এই উপজেলাতেই রয়েছে এই অপরূপ সৌন্দর্যের ঝর্ণাটি।
সহস্রধারা, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
অসাধারণ এই ঝর্ণাটি সীতাকুণ্ডে অবস্থিত। কিন্তু এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে যেতে হবে। কারণ এর খানিকটা অংশ পড়ছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।
শুভলং ঝর্ণা, রাঙ্গামাটি
ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটির উদ্দেশে রওনা দিলে অবশ্যই শুভলং ঝর্ণার সৌন্দর্য দেখে আসা উচিৎ। রাঙ্গামাটি শহর থেকে নৌকো ভাড়া করে কাপ্তাইয়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চলে যান এই অপূর্ব ঝর্ণাটির কাছে।
এন এইচ, ২২ অক্টোবর