শ্বেত পাথরের তাজমহলের রূপ
ভারতের আগ্রার যমুনার তীরজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সম্রাট শাহজাহানের ভালোবাসার নিদর্শন তাজমহল। বিশ্বের যেকোন স্থাপত্যের চেয়ে এর সৌন্দর্য বেশি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আগ্রার পাড়ে শ্বেত পাথরের মার্বেল দিয়ে এই তাজমজল নির্মাণ করেন।
তাজমহলকে মুঘল স্থাপত্যশৈলীর আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে ধরা হয়। এর নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুর্কি, ভারতীয় ও ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন রয়েছে। ৩ কোটি ২০ লাখ রুপি ব্যয়ে নির্মিত এই সৌধ বানাতে প্রায় ২২ বছর সময় লাগে। ২১৩ ফুট উচ্চতার তাজমহল নির্মানে কাজ করে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক।
তাজমহলের চারটি মিনারের উচ্চতা ১৬২ দশমিক ৫ ফুট করে। তাজমহলের গম্বুজগুলো অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর, মূল গম্বুজের দৈর্ঘ্য ৫৮ ফুট। সূর্যোদয়ের সময়ে গম্বুজের সাদা মার্বেল গোলাপি আভা ছড়ায়। স্থাপত্যশৈলীর এই অনন্য আকর্ষন নির্মানের জন্য এক হাজার হাতি দিয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মালামাল আনা হয়। তাজমহল নির্মাণের জন্য আগ্রার পাড় থেকে ৩ একর জায়গা প্রায় ১৬০ ফুট উঁচু করা হয়। তাজমহলের সামনের চত্বরে ৩ হাজার ২২৯ বর্গফুট জায়গায় ১৬টি ফুলের বাগান রয়েছে।
এতগুলো বাগানের মাঝে একটি উঁচু মার্বেল পাথরের পানির চৌবাচ্চা আর উত্তর-দক্ষিণ দিকে একটি সরল রৈখিক চৌবাচ্চা আছে। এতে তাজমহলের প্রতিফলন দেখা যায়। সৌন্দর্য বাড়াতে বৃক্ষশোভিত পথ ও ঝরনা তো আছেই। প্রতিবছর তাজমহল দর্শন করতে বছরে ৩০-৩৫ লাখ পর্যটক সমাগম হয়। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে তাজমহলকে তালিকাভুক্ত করে।
এন এইচ, ২৬ ডিসেম্বর