খালেদা জিয়ার জ্বর আসেনি, অবস্থা স্থিতিশীল: চিকিৎসক
ঢাকা, ২০ এপ্রিল – গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কোনো ধরণের জ্বর আসেনি বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
জাহিদ হোসেন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের মাধ্যমে আমরা দেশবাসীকে জানাতে চাই- গত রোববার ভোর ৬টা থেকে সোমবার রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত উনার কোন ধরণের জ্বর আসেনি। এটা একটা ভালো দিক। এটাকে আমরা ইতিবাচক দিক হিসেবে গণনা করছি।
খালেদা জিয়ার অন্যান্য কোন উপসর্গও বৃদ্ধি পায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, নতুনভাবে কোন উপসর্গও হয় নাই। এই অবস্থায় বলতে পারি, উনি স্থিতিশীল পর্যায়ে আছেন। এভাবে যদি আগামী দুটি দিন যায়, ইনশাআল্লাহ আমরা আশা করতে পারি- করোনা থেকে হয়তো উনি একটা ভালো পর্যায়ে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন : ডিএনসিসি হাসপাতালে ২৫ টাকায় আইসিইউসহ চিকিৎসাসেবা!
সুস্থতার জন্য খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, উনার চিকিৎসা যেকোন পরিস্থিতে বাসায়, পরবর্তীতে- আমরা আশা করি না…। এরপরও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।
ডা. জাহিদ জানান, উনার চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, আমাদের দেশে ও বিদেশে মেডিকেল টিমের সদস্যরা পরামর্শ দিচ্ছেন। সেই পরামর্শে উনার চিকিৎসা চলছে।
ডা. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে ছিলেন ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক একটি টিম চিকিৎসা শুরু করেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও গুলশানে ‘ফিরোজা’র বাসায় তার গৃহকর্মীসহ আরো ৮ জন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন বাড়ি চলে গেছেন এবং বাকিরা ফিরোজায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ডিত। দন্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়, শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ২০ এপ্রিল