চেক প্রজাতন্ত্রের ২০ কূটনীতিককে বহিষ্কার করবে রাশিয়া
মস্কো, ১৯ এপ্রিল – পাল্টা জবাবে চেক প্রজাতন্ত্রের ২০ কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। শনিবার দেশটির ১৮ কূটনীতিককে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে বহিষ্কার করার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। এরমধ্যেই পাল্টা ঘোষণা দিয়ে বসেছে রাশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, চেক সরকারের এ পদক্ষেপের জবাবে আরও কঠোর হতে পারে রাশিয়া।
সংবাদমাধ্যম বলছে, মস্কো বহিষ্কার করা চেক প্রজাতন্ত্রের কূটনীতিকদের মাত্র একদিন সময় দিয়েছে দেশ থেকে চলে যাওয়ার জন্য। যদিও চেক প্রজাতন্ত্র রুশ কূটনীতিকদের সময় দিয়েছে ৭২ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন : ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা জারি করল হংকং
চেক প্রজাতন্ত্রের সিদ্ধান্তকে ‘নজিরবিহীন’ এবং একটি ‘বৈরী আইন’ বলে অভিহিত করেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলোর পটভূমি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে চেক কর্তৃপক্ষ ‘সম্মান দেখাতে গিয়ে পুকুরের ওপার থেকে তাদের মাস্টারদেরও ছাড়িয়ে গেছে’।
এক কূটনৈতিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, চেক প্রজাতন্ত্রের এ পদক্ষেপের পাল্টা জবাবে রাশিয়া মস্কোয় অবস্থিত চেক দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এর আগে শনিবার গোয়েন্দা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে রাশিয়ার ১৮ জন কূটনীতিককে নিজেদের দেশ থেকে বহিষ্কার করে চেক প্রজাতন্ত্র। চেক স্থানীয় গোয়েন্দা এজেন্টদের দাবি, এসব কূটনীতিক রাশিয়ার গোয়েন্দা কর্মী। তারা ২০১৪ সালের একটি অস্ত্র ডিপোতে বিস্ফোরণে জড়িত থাকতে পারেন; সন্দেহ করা হচ্ছে।
মধ্য ইউরোপের দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও সামরিক জোট নেটোর সদস্য। ১৯৮৯ সালে কমিউনিস্ট শাসনের পতনের পর এই দুই দেশ এবারই প্রথম সবচেয়ে বড় বিরোধে জড়াল।
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বাবিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভার্বেটিস শহরে গোলাবারুদের ডিপো বিস্ফোরণে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউ জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ আছে।
রাজধানী প্রাগের প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার দূরে ভার্বেটিস শহর। ২০১৪ সালের অক্টোবরে কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। এতে বেসরকারি কোম্পানির দুইজন কর্মকর্তা নিহত হন।
সূত্র : সমকাল
এন এইচ, ১৯ এপ্রিল