পশ্চিমবঙ্গ

পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ, কমছে সুস্থতার হার

কলকাতা, ১৬ অক্টোবর- পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙ্গছে৷ অন্যদিকে কমছে সুস্থতার হার৷ উৎসবের মুখে করোনা উর্ধগতিতে চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য ভবনে৷ অন্যদিকে পুজোর কেনাকাটায় দোকানগুলিতে একসাথে ভিড় না করার আবেদন জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর৷

শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ৩,৭৭১ জন৷ বৃহস্পতিবার ছিল ৩,৭২০ জন৷ সব মিলিয়ে বঙ্গে আক্রান্ত ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ১৮৮ জন৷ গত ২৪ ঘন্টায় ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ছিল ৬১ জন৷ বুধবার ৬৪ জন৷ তবে এই পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫,৯৩১ জন৷ সংখ্যাটা ৬ হাজারের দোরগোড়ায়৷

পাশাপাশি প্রতিদিনই বাড়ছে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা৷ এদিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,৩২ হাজার ৫০০ জন৷ বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৫১৬ জন বেশি৷ যা একদিনে নতুন রের্ডক৷ এক সময় অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা কমতে কমতে ২৩ হাজারে নেমে এসেছিল৷

এদিনও নতুন আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে উঠার সংখ্যাটা কম৷ একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩,১৯৪ জন৷ বৃহস্পতিবার ছিল ৩,১৭৯ জন৷ সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে উঠার সংখ্যাটা ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৫৭ জন৷ সুস্থতার হার কমে ৮৭.৭৩ শতাংশ৷ বৃহস্পতিবার ছিল ৮৭.৭৭ শতাংশ৷

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের বাম নেতা আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা মারা গেছেন

এক সময় সুস্থতার হার প্রায় ৮৮ শতাংশ ছিল৷ একদিনে যে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে কলকাতার ১৩ জন৷ উত্তর ২৪ পরগনার ১৯ জন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩ জন৷ হাওড়ার ৫ জন৷ হুগলি ৩ জন৷ পশ্চিম বর্ধমান ৪ জন৷ পূর্ব বর্ধমান ৪ জন৷ পূর্ব মেদিনীপুর ১ জন৷ পশ্চিম মেদিনীপুর ১ জন৷ নদিয়া ১ জন৷ মুর্শিদাবাদ ১ জন৷ কালিম্পং ২ জন৷ দার্জিলিং ১ জন৷ কোচবিহার ২ জন৷ আলিপুরদুয়ার ১ জন৷

যদিও বাংলায় একদিনে ৪৩ হাজার ৩৮১ টি নমুনা টেস্ট হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার ছিল ৪২ হাজার ৬৫৩ টি৷ এই মূহুর্তে মোট টেস্টের সংখ্যা ৩৯ লক্ষ ৪ হাজার ৩২২ টি৷ প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় টেস্টের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৩,৩৮১ জন৷

এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ৯২ টি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে৷ আরও ৫ টি ল্যাবরেটরি অপেক্ষায় রয়েছে৷ আশা করা যায় ওই ল্যাবরেটরিতে শীঘ্রই টেস্ট শুরু হবে৷ বাংলায় ৯২ টি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা তৈরি করা হয়েছে৷ এর মধ্যে সরকারি ৩৭ টি হাসপাতাল ও ৫৫ টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে৷

হাসপাতালগুলিতে মোট কোভিড বেড রয়েছে ১২,৭১৫ টি৷ আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১,২৪৩টি, ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে ৭৯০টি৷ কিন্তু সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে ৫৮২টি৷ দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে নতুন বেড বাড়েনি৷ এদিকে প্রতিদিনই সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ ফলে আগামী দিনে রাজ্যে বেডের সমস্যা হতে পারে৷ যদিও সরকার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালে নতুন বেড বাড়ানো হবে৷

সূত্র : কলকাতা২৪
এন এইচ, ১৬ অক্টোবর

Back to top button